ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠির নলছিটির মোল্লারহাট ইউনিয়নের কামদেবপুর গ্রামে রায়হান জোমাদ্দার (২০) নামে এক যুবক নিজ ঘরে রহস্যজনক মৃত্যুর শিকার হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) স্থানীয় থানা পুলিশ যুবকের লাশ উদ্ধার করে। যুবক পরিকল্পিত হত্যার শিকার হয়েছে কিনা পুলিশ এমন সন্দেহে লাশটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। অবশ্য পরিবারের লোকজনের মধ্যেও এমন সন্দেহ দানা বেধেছে। তাদের দাবি রায়হানকে গভীর রাতে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে পরিবারের দাবির সাথে একমত না হলেও বিষয়টি সন্দেহজনক বলে অবহিত করে।
নলছিটি থানা পুলিশ জানায়, স্থানীয় পূর্ব কামদেবপুর গ্রামের জাকির হোসেন জোমাদ্দারের ছেলে রায়হানের মৃত্যুর খবর মঙ্গলবার সকালে থানা পুলিশ জানতে পারে। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তার লাশটি উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তে পাঠায়। লাশটি উদ্ধারকালে শরীরের একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন পুলিশকে খুনের আলামত দিয়েছে বলে একটি সুত্র জানায়। কিন্তু পুলিশ তাৎক্ষণিক কোনো আইনি পদক্ষেপ নেয়নি। এ ঘটনায় পুলিশ অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
রায়হানের বাবার অভিযোগ ছেলের সাথে স্ত্রীর বনিবোনা হচ্ছিলো না। বরং পরিবারে ঝগড়া লেগেই ছিলো। সোমবার রাতেও টিভি দেখা নিয়ে ছেলে তার স্ত্রী মীম আক্তারের সাথে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়। পরে সকালে পাওয়া যায় ছেলের নিথর দেহ।
রায়হানের ভাই রবিউল ইসলাম হৃদয়ের অভিযোগ, তার ভাবী মীম আক্তার বরিশাল শহরের বটতলা এলাকার বাসিন্দা আশিকের স্ত্রী থাকাকালে বড় ভাই রায়হানের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে এবং আশিককে তালাক দেন। এরপর তার ভাইকে বিয়ে-সংসার করলেও সাবেক স্বামী আশিকের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে আসছিলেন।
পরিবারের অভিযোগ স্ত্রী মীম পরকীয়া সম্পর্ক রক্ষা করা নিয়ে স্বামীর সাথে সোমবার রাতে কলহে জড়িয়েছে এবং গভীর রাতে কারও সহায়তায় রায়হানকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে।
এ বিষয়ে নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন জানান, পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। সেই সাথে লাশের পাশ থেকে একটি ওড়না উদ্ধার করে। পুলিশের অনুমান ওই ওড়না গলায় পেঁচিয়ে রায়হানকে হত্যা করা হয়েছে বা ওই ওড়না দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু পুরোপুরি নিশ্চিত না হয়ে পুলিশ বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাইছে না।