মোঃনজরুল ইসলাম, ঝালকাঠি : ঝালকাঠিতে ঢাকাফেরত ছয়মাসের শিশুসহ এক পরিবারের তিনজন করোনা আক্রান্ত রোগী ১২ দিনের চিকিৎসায় সুস্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। বুধবার সকালে দ্বিতীয় দফায় নমুনা সংগ্রহের রিপোর্টে তাদের করোনা নেগেটিভ আসে। ফলে এই তিনজনকে ঝুঁকিমুক্ত ঘোষণা করেছেন সিভিল সার্জন ডা. শ্যামল কৃষ্ণ হাওলাদার।
সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জানা যায়, গত ৭ এপ্রিল ঢাকা থেকে স্বামী, স্ত্রী ও তাদের ছয়মাসের পুত্র সন্তান ঝালকাঠি সদর উপজেলার বিন্নাপাড়া গ্রামের বাড়িতে আসেন। অসুস্থতা বোধ করায় পরের দিন স্বাস্থ্য বিভাগ তাদের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠায়। ১০ এপ্রিল পরীক্ষার রিপোর্টে তাদের করোনা সনাক্ত হয়। এর পর থেকেই তাদের বাড়িতে হোম আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। লকডাউন করা হয় তাদের বাড়িসহ আশেপাশে আরো ১৫টি ঘর।
১৫টি পরিবারের খাদ্যসামগ্রী দেওয়ার দায়িত্ব নেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খান আরিফুর রহমান। তিনি এক মাসের খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেন ওই পরিবারকে। এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ মেনে তাঁরা বাড়িতে বসেই চিকিৎসা নেয়। তাদের জন্য ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মো. ওমর ফারুককে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি সার্বক্ষণিক তাদের নানাভাবে খোঁজখবর নিয়ে মোবাইলফোনে চিকিৎসা দিয়েছে। মাত্র ১২ দিনেই তারা সুস্থ হয়। তাদের নমুনা সংগ্রহ করে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার তাদের করোনা নেগিটিভ রিপোর্ট আসে। ২৪ ঘণ্টা পরে আজ সকালে দ্বিতীয় দফার রিপোর্টেও তাদের করোনা নেগেটিভ আসে।
ঝালকাঠি গাবখান-ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মো. ওমর ফারুক বলেন, সঠিকভাবে হোম আইসোলেশন মেনে চলা, নিয়মিত ওষুধ সেবন ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করায় তারা সুস্থ হয়েছেন। তাদের গরমপানি ব্যবহার ও ভিটামিন সি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। এখনো কিছুদিন তারা হোম আইসোলেশনে থাকবেন।
ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. শ্যামল কৃষ্ণ হাওলাদার বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এই তিনজন এখন পুরোপুরি সুস্থ। তাদের ঝুঁকিমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।