ঝালকাঠির নৌকার কারিগরদের ব্যাস্ততা : জমজমাট নৌকার ভাসমান হাট

প্রকাশঃ ২০২০-০৬-০৯ - ১৮:৫৩

মো:নজরুল ইসলাম,ঝালকাঠিঃ খাল-বিল, নদী-নালা বেষ্টিত ঝালকাঠি এবং এর আশে পাশের জেলা গুলোতে বর্ষা মৌসুমে নৌকার কদর অন্য যেকোন সময়ের তুলনায় অনেক বেড়ে যায়। বিশেষ করে কৃষকদের কাছে। ধান কাটা, বাগান থেকে পেয়ারা সহ, বিভিন্ন ফসল সংগ্রহ এবং বাজারজাত করার কাজে নৌকার বিকল্প নেই। আর এ বাড়তি চাহিদার যোগান দিতে নৌকা তৈরির কারিগররা দিন রাত শ্রমদিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু কাঠসহ নৌকা তৈরির উপকরনের দাম বেড়ে যাওয়ায় নৌকা তৈরিতে খরচও বেড়েছে। তবে সে তুলনায় নৌকার দাম বাড়েনি বলে জানান কারিগররা। নিজস্ব পূঁজি না থাকায় দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অগ্রীম টাকা নিয়ে উপকরণ কিনতে হয়। যে কারনে তারা তেমন দাম পায় না। দক্ষিনাঞ্চলের বৃহত্তম নৌকারহাট আটঘরসহ আসপাশের বিভিন্ন নৌকা বিক্রির হাটগুলো এখন ক্রেতা বিক্রেতা সমাগমে সর্গরম হয়ে উঠেছে।

বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই প্রতি বছরের ন্যায় ঝালকাঠিসহ দক্ষিনাঞ্চলের নদী-নালা খালবিল বেষ্টিত এলাকায় নৌকার কদর বেড়ে গেছে। এতে নৌকা নির্ভার এলাকাগুলোতে নৌকার চাহিদা বেড়েছে। আর এ বাড়তি চাহিদার যোগান দিতে জেলার নৌকা তৈরির কারিগররা দিন রাত শ্রমদিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু কাঠ, লোহাসহ নৌকা তৈরির উপকরনের দাম বাড়লেও সে তুলনায় বাড়েনি নৌকার দাম। তাছাড়া নিজস্ব পূঁজি না থাকায় দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অগ্রীম টাকা নিয়ে উপকরণ কিনতে হয়। যে কারনে তারা তেমন দাম পায় না। তবুও তারা প্রতি হাটে তৈরি করা নৌকা নিয়ে হজির হয়। দক্ষিনাঞ্চলের বৃহত্তম নৌকারহাট আটঘরসহ আসপাশের বিভিন্ন নৌকা বিক্রির হাটগুলো এখন ক্রেতা বিক্রেতা সমাগমে সর্গরম হয়ে উঠেছে। প্রায় দু’শ বছরের পুরানো ঝালকাঠির সিমান্তবর্তী আটঘর নৌকা কেনা বেচার হাটে বিক্রির জন্য জেলা বিভন্ন স্থান থেকে কারিগর এবং মৌসুমী ব্যবসায়ীরা নৌকা নিয়ে আসে ট্রলারে কিম্বা গাড়িতে করে। এখান থেকে এসব নৌকা যাচ্ছে বৃহত্তর বরিশাল এবং ফরিদপুরের প্রত্তন্ত এলাকায়। প্রতি মৌসুমে এ হাটে এক থেকে দেড় কোটি টাকার নৌকা বিক্রি হয় বলে ব্যবসায়ীরা জানান।