মো:নজরুল ইসলাম,ঝালকাঠি : অনিয়ম, দূর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ সহ নানা অনিয়মে অবশেষে ঝালকাঠি গনপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হারুন অর রশিদ’র বিরুদ্ধে আদালতে এক ঠিকাদার মামলা দায়ের করেছে। ঝালকাঠি যুগ্নজেলা জজ ১ম আদালতে ঠিকাদার কামাল শরীফ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং- দেং মোং নং- ০৭ / ২০১৮। অন্যদিকে অনিয়ম, দূর্নিতী ও ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিতে, বাংলাদেশ দূর্নিতী দমন কমিশন (দুদক),জেলা প্রশাসক,ঝালকাঠি, প্রেস ক্লাব,জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা,ঝালকাঠি বরাবরে একটি আবেদনপত্র দাখিল করা হয়েছে।
মামলা সুত্রে ও বাদীর অভিযোগে জানাগেছে, ঝালকাঠিতে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে দরপত্র প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ এনে এ মামলাটি দায়ের করা হয়। নিম্ম দরদাতাকে কাজ না দিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী তাঁর ইচ্ছেমত কাজ বন্টন করেন। অভিযোগ রয়েছে, ঘুষ দিলেই কাজ পাওয়া যায় তাঁর দপ্তরে। সঠিক প্রক্রিয়ায় দরপত্র জমা দিলেও যারা ঘুষের টাকা দিতে অপারগ তাদের কাজ দেওয়া হয় না বলেও অভিযোগ ঠিকাদারদের। এতে নির্বাহী প্রকৌশলীর অনৈতিক কর্মকান্ডে ক্ষুব্ধ হয়েছেন স্থানীয় ঠিকাদাররা। যুবলীগ নেতা ঠিকাদার মো. কামাল শরীফ নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দরপত্র প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ এনে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা করেন। আদালতের বিচারক এস এম নূরুল ইসলাম ঝালকাঠি গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হারুন অর রশীদকে শো-কজ করেন। তাকে স্বশরীরে আদালতে হাজির হয়ে শো-কজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ঠিকাদার মো. কামাল শরীফ অভিযোগ করে বলেন , ঝালকাঠি গণপূর্ত বিভাগ থেকে গত বছরের নভেম্বর মাসে ঝালকাঠিতে প্রায় ৬৩ লাখ টাকার সাতটি কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়। এর মধ্যে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সংস্কারের জন্য এক লাখ টাকা, জেলা ও দায়রা জজের বাসভবন সংস্কারে চার লাখ, মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলক নির্মাণে এক লাখ ৭০ হাজার, সার্কিট সাউসের দেয়াল বর্ধিত করণে ১৯ লাখ, সিভিল সার্জ কার্যালয়ে রংয়ের কাজে এক লাখ ৫০ হাজার, জেলা প্রশাসকের বাসবভনের সামনে ড্রেন নির্মাণে ১৩ লাখ ও আনসার বিডিপির ব্র্যাক নির্মাণে ২২ লাখ টাকার কাজ রয়েছে। গত বছরের ৩ ডিসেম্বর দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ধার্য করা হয়। দরপত্রে সর্বনিন্ম দরতাদাকে কাজ দেওয়ার নিয়ম থাকলেও নির্বাহী প্রকৌশলী তাঁর পছন্দমত ঠিকাদারকে সাতটি কাজ দিয়েছেন। সর্বনিন্ম দরদাতা হয়েও মেসার্স এমপি বিল্ডার্সের সত্বাধীকারী মো. কামাল শরীফকে কাজ দেওয়া হয়নি। বিষয়টি কামাল শরীফ গণপূর্ত নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে জানতে চান। নির্বাহী প্রকৌশলী ওই ঠিকাদারকে এ ব্যাপারে পরে জানানো হবে বলে জানান। এভাবে একাধিকবার তাঁর কাছে গেলে তিনি একই কথা বলে কালক্ষেপন করেন। এক পর্যায়ে ওই ঠিকাদার বাদী হয়ে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ঝালকাঠির যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে গণপূর্তের দরপত্র প্রক্রিয়ায় অনিয়নের অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক আজ সোমবার দুপুরে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে শো-কজ করেন। একই সঙ্গে তাকে স্বশরীরে হাজির হয়ে শো-কজের জবাব দিতে বলা হয় বলে বাদীর আইনজীবী নিচ্ছিত করেন।