মো:নজরুল ইসলাম, ঝালকাঠি : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঝালকাঠি সদর উপজেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পাচঁটার দিকে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেন।
ঘোষণায় বলা হয়, লকডাউন চলার সময় ঝালকাঠি সদর উপজেলা থেকে কোন ব্যক্তি অন্য উপজেলা ও জেলায় যেতে পারবেন না এবং অন্য জেলা ও উপজেলা থেকে এই উপজেলায় প্রবেশ করতে পারবেন না।
নিষেধাজ্ঞা চলার সময় সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, গণজমায়েত, গণপরিবহন এবং জনসাধারণের চলাচল বন্ধ থাকবে।
তবে জরুরি পরিসেবা যেমন: চিকিৎসা সেবা, কৃষি পণ্য, খাদ্য সরবরাহ ও সংগ্রহ, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন, ইন্টারনেট, ব্যাংকিং, ওষুধ শিল্প সংশ্লিষ্ট যানবাহন-কর্মী ইত্যাদি এবং সরকার কর্তৃক ঘোষিত অন্যান্য জরুরি পরিসেবা এর আওতামুক্ত থাকবে। পিরোজপুর-ঝালকাঠি-বরিশাল মহাসড়ক এর আওতা বহির্ভূত থাকবে। কেউ এ আদেশ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।
উল্লেখ্য, আজ ঝালকাঠি সদর উপজেলার একজন ইউপি সদস্য (৪০) করোনা আক্রান্ত হন। সকাল ১১টায় বরিশাল শের-এ-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঝালকাঠির সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠানো রিপোর্টে তাঁর করোনা পজেটিভ আসে। এনিয়ে ঝালকাঠি জেলায় শিশুসহ চার জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ খবরের পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দুপুরে করোনা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কমিটির সভায় সদর উপজেলাকে লকডাউনের ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জেলা সিভিল সার্জন শ্যামল কৃষ্ণ হাওলাদার বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়িতে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ঝালকাঠি জেলায় ২৬৫ জন হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। ১২০ জনের নমুনা বরিশালে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৬৯ জনের প্রতিবেদন এসেছে। তাঁদের মধ্যে চারজনের প্রতিবেদন পজিটিভ।