জয় মহন্ত অলোক, ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার কচুবাড়ি ইউনিয়নের বুড়ীর হাট উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং কমিটি গঠনে অনিয়মের আভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমান কমিটির সভাপতি মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে সভাপতি পদ ধরে রাখা ও স্কুলের গাছ কাটার এসব অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে । জানাযায়, সদর উপজেলা কচুবাড়ির বুড়ীহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসের ২৯ তারিখে সভাপতি পরিবর্তনের জন্য স্কুলে একটি অবিভাবক সদস্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সচিন চন্দ্র বর্মনকে স্কুলের নতুন সভাপতি করার লক্ষ্যে স্কুলের উন্নয়নের লক্ষ্যে ১০ সদস্যের মধ্যে ৬জন সদস্য তাকে ভোট দেয়। যার মধ্যে রফিক, আম্বিয়া , মমিনুর, খিতিতি চন্দ্র ,সাগরিকা, জাহাঙ্গীর আলম নতুন সভাপতির পক্ষ্যে ভোট দেয়। অপরদিকে বর্তমান সভাপতির পক্ষে ভোট দেয় চার জন। এর পর থেকেই শুরু হয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির এ্যাডহক কমিটি গঠনের টালবাহানা। এদিকে কমিটির অন্যান্ন সদস্যদের মনে প্রশ্স জাগে, যদি এ্যাডহক কমিটির দরকার ছিলো তাহলে কেন আবারো নির্বাচন দেওয়া হলো । এ ব্যাপারে নতুন কমিটির সম্ভাব্য সভাপতি পদ প্রার্থী সতিশ চন্দ্র বর্মণ জানান, সকল বিধি মোতাবেক ১০জন সদস্যের মধ্যে ছয় জন আমার পক্ষ্যে থাকার কারনেই আমি বিধি মোতাবেক বিজয়ী হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। কারন বর্তমান সভাপতি আর প্রধান শিক্ষক চালাকি করে এই নির্বাচনকে বিলুপ্ত ঘোষনা করে দেয়। এখন সভাপতি একটি পায়তারা শুরু করেছে এটাকে একটি এ্যাডহক কমিটি করার জন্য। এ কমিটির করতে হলে তাদেরকে তিনটি নোটিশ করতে হবে। যদি কোন সদস্য উপস্থিত না হয় তাহলে তারা এটা করতে পারবে। কিন্তু তারা কোন নটিশ দেননি। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সভাপতির বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। তিনি স্কুলের গাছ পর্যন্ত কর্তন করেছেন। যার মূল্য আনুমানি ৫০-৬০ হাজার টাকা। অনেক আন্দোলন তার বিরুদ্ধে করা হয়েছে। তিনি একটি সরকারী প্রতিষ্ঠানের ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী হয়ে কিভাবে পারে অন্য আরেকটি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি পদে থাকতে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক পৃথ্বীরাজ রায় বলেন,আমাদের এখানে ম্যানেজিং কমিটির মোট সদস্য ১০ জন। যার মধ্যে তিনজন কোনদিন সভাপতি হতে পারবেন না। সতিশ চন্দ্র আমাদের সদস্যদের মধ্যে কেউ না। আমাদের অবিভাবকের মধ্যে একজন তাকে সভাপতি করার প্রস্তব দিয়েছে। সেখানে ১০ জনের মধ্যে ৫জন উপস্থিত ছিলো। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী ৭জনের কম হলে নির্বাচন হয়না। তাই এই নির্বাচন বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। অপরদিকে স্কুলেরসভাপতি মশিউর রহমানের সাথে এ ব্যাপারে ফোনে ( ০১৭১৯২০৪৬৩৭) একাধিকবার কথার বলার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোর্শারফ হোসেন (০১৭১২১৯০৮৫৩) বলেন, সভাপতি নির্বাচনের জন্য ফেব্রæয়ারি ১ তারিখে একটি সভা আহবায়ন করা হয়েছিলো । সেখানে উপস্থিত ছিলেন ৫ জন। ফরামের বিধান অনুযায়ি সেখানে উপস্থিতি কম থাকার কারনে উপস্থিতি পর্যন্ত আলোচনা সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়। প্রধান শিক্ষক বলেন আমাদের হাতে আরো সময় আছে তাহলে ৪তারিখে আপনাকে আবারো জানাবো । কিন্তু তিনি আর পরে কিছু জানায় নি।