জয় মহন্ত অলক, ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের যে সড়কগুলি রয়েছে তাদের মধ্যে সবথেকে বেশি ব্যস্ততম হল বঙ্গবন্ধু সড়ক, নরেশ চৌহান সড়ক ও শহীদ মোহাম্মদ আলী সড়ক । ইটের খোয়া, পাথর ও বালু রেখে বহুতল মার্কেট নির্মাণ করায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে ব্যাস্ততম এ সড়কগুলিতে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন স্থানীয় পথচারীরা ও সাধারণ মানুষ।
শুক্র ও শনিবার ঠাকুরগাঁও শহরে বিভিন্ন উপজেলা থেকে সাধারণ মানুষ ডাক্তার দেখানোর জন্য, পরিবার নিয়ে ঘুরার জন্য বের হয় তাই শহরে মানুষের চাপ থাকে বেশি। এই দিনেই শহরের দুটি ব্যাস্ত রাস্তা দখল করে মার্কেট নির্মানে ব্যবহার করায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
শহরের তাঁতিপাড়া এলাকার বাসিন্দা মাহামুদুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় মার্কেটের মালিক ইট ও বালু এনে ব্যস্ততম রাস্তার ওপর জমা করেন। শুক্রবার লোকজন নিয়ে এসে রাস্তা বন্ধ করে কাজ শুরু করেন তিনি। শনিবারেও একই চিত্র দেখা যায়। মার্কেট নির্মান করছেন সড়কের উপরে ইট বালু রেখে। শহরের প্রধান দুটি রাস্তাতো সবসময় ব্যাস্ত থাকেই তার উপরে মার্কেট নির্মান কাজে ব্যবহার করলে মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌছায়। নির্মাণ কাজ যতদিন শেষ না হবে ততদিন এই দুর্ভোগ সকলকে পোহাতে হবে।
আমতলা লাইব্রেরী মোড় এলাকার বাসিন্দা মজিবর বলেন, শহরের রাস্তা গুলোর এমনিই বেহাল অবস্থা। আবার রাস্তার উপর যদি নির্মান কাজ করা হয় তাহলে এসব রাস্তা বেশিদিন ভালো থাকবে না। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি এতে দীর্ঘস্থায়ী হবে।
পৌর কর্তৃপক্ষের রহস্যজনক নজরদারির অভাবে মার্কেট নির্মাণের সময় মালিকরা রাস্তার সামনে কোনো জায়গা না ছেড়ে রাস্তার জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণ করার কারণে জনগণকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
কয়েকজন পথচারী বলেন, রাস্তার ওপর নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখায় পথচারীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হলেও রহস্যজনক কারণে এসব বিষয়ে নীরব থাকছে পৌর কর্তৃপক্ষ। শহরে যানজট তো এখন এমনেই বেশি তার উপর রাস্তা বন্ধ করে কাজ করায় যানজট আরো বাড়ছে।
নির্মাণাধীন মার্কেটের মালিকদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, রাস্তার ওপর ইট, খোয়া ও বালু রেখে নির্মাণ কাজ করায় যানজট হলেও জনগণের তেমন সমস্যা হচ্ছে না। আর এটা করতে তো বেশিনি সময় লাগবেনা।
ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র মির্জা ফয়সল আমিন বলেন, রাস্তার ওপর ইট, খোয়া ও বালু রেখে পথচারীদের চলাচলে যেন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করা হয় সেজন্য আমরা পৌরসভা থেকে অনেকবার মাইকিং করেছি। আমরা অনেক মার্কেট মালিককে নোটিশ করেছি যেন তারা রাস্তায় কাজ না করে। এর পরেও অনেকে নির্মান কাজ করতেছে তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করবো ।