ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ পেটের পিড়া নিয়ে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের সার্জারী বিভাগে ভর্তি হওয়া কুমারি মাতা ৫ মাসের সন্তান জন্ম নেয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) সকালে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত ১১ টায় সময় পেটের পিড়া নিয়ে শহরের নিশ্চিতপুর মৌজার ১৪ বছরের ওই কিশোরি হাসাপাতালে ভর্তি হয়। ২৪ এপ্রিল ভোর রাতে শৌচাগারে গেলে ৫ মাসের সন্তান ভুমিষ্ট হয়। পরে ভোরের দিকে সেই মৃত সন্তানকে টয়লেটের মলদাড়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যাওয়ার সময় হাতে নাতে তাকে ধরে ফেলে পরিচ্ছন্ন কর্মী সুজন দাস।
তিনি জানান সকালে টয়লেট পরিস্কার করতে গেলে টয়লেটে কোন কিছুই ভিতরে প্রবেশ করছে না। সন্দেহ মনে হলে ওই মেয়ে পালিয়ে যেতে ধরলে তাকে আটকিয়ে দেয়।
কুমারি মাতাকে এ সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন আমার বিয়ে হয়েছে। স্বামীর নাম মিনহাজুল ইসলাম। তার বাড়ী নীলফামারী জেলার সদর উপজেলার থানা সংলগ্ন এলাকায় ইয়াকুব আলীর ছেলে। সে একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পিডিএফ এ কর্মরত আছে। সম্প্রতি ঠাকুরগাঁও থেকে বদলী হয়ে রংপুরে অবস্থান করছে।
এ প্রসঙ্গে ওই কিশোরীর মায়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কেঁদে কেঁদে বলেন আমার মেয়ের সাথে মিনহাজুল নামে এক ছেলের সম্পর্ক ছিল। ওই ছেলে আজকেও আমাকে ফোন দিয়েছে। সে সন্তান নষ্ট করার জন্য গতকাল আমার মেয়েকে ঔষধ খাওয়ার পরামর্শ দেয়।
মিনহাজুল ইসলামের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে ওই কিশোরী মেয়ের সাথে সম্পর্কের বিষয়ে সত্যতা প্রকাশ করেন।
আধুনিক সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ নাদিরুল আজিজ চপল বলেন বিষয়টি শুনেছি। ওই কিশোরীর বাড়ী শহরের নিশ্চিন্তপুর মহল্লায়। সে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। কিশোরীটি সুুস্থ আছে।
ঠাকুরগাঁও সদর থানা ওসি তানভিরুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়টি আমার জানা নেই। খবর নিয়ে জানানো হবে।