তারেক জিয়ার অনুসারীদের ইশারায় চলে বাংলাদেশ রেল প্রশাসন

প্রকাশঃ ২০২০-১০-২২ - ০০:০৭

রিটন দে লিটন, চট্টগ্রাম:প্রবাদ আছে সরকারি দলের ইশারায় প্রশাসন চলে, কিন্তু রেলভবনের বেলায় উল্টো বিএনপি নেতা তারেক জিয়ার অনুসারীর ইশারায় চলে বর্তমান রেলওয়ে প্রশাসন । রেলমন্ত্রীর পাশেই থাকেন তারেক জিয়ার অনুসারী ও  বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদের রেল শ্রমিক ও কর্মচারী দল কেন্দ্রিয় অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতা  মোমিনুল ইসলাম মামুন।

রেল সূত্রে জানা যায় হাওয়া ভবনের সিন্ডিকেট সদস্য ঠিকাদারদের মূল হোতাদের সকল অবৈধ কাজের সহযোগিতার সাথে যুক্ত এই মোমিনুল ইসলাম মামুন। তিনি মন্ত্রীর ও উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে হাওয়া ভবনের সদস্যদের ঠিকাদারি, ইজারা,লিজ ও নিয়োগ বাণিজ্যের সাথে যুক্ত রয়েছেন বলে জানা যায়।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায় মোমিনুল ইসলাম মামুন (সি আই / সি সি এম/পূর্ব /সি আর বি/ চট্টগ্রামে কর্মরত থাকলেও রেল ভবনের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সহযোগিতা করার জন্য তাকে বাংলাদেশ রেল ভবনে সি আই পথ না থাকা সত্বেও বেআইনি একটা পদ সৃষ্টি করে রেল ভবনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সহযোগিতা করার জন্য তাকে পেশনে রেলভবনে নিয়ে কাজ করাচ্ছে।

জানা যায় ১২১ জন সুইপার নিয়োগে হরিজন বা সুইপার কাজের সাথে যুক্ত এমন লোকদের নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও তা না করে ৫১ জন মুসলমান শিক্ষিত ছেলে মেয়েকে নিয়মবহির্ভূতভাবে টাকার বিনিময় নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছেন।

অনিয়মের মাধ্যমে ১২১ সুইপার নিয়োগ নিয়ে হরিজন সম্প্রদায়ের মধ্যে নানা সমালোচনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে হরিজন সম্প্রদায়ের নেতা নিকুঞ্জ বিহারী জানান অতিরিক্ত সিসিএম রশিদা সুলতানা গনি নিয়োগ কমিটির আহবায়ক হলেও সমস্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন এই মোমিনুল ইসলাম মামুন।

এই অনিয়ম তদন্ত করে বিভাগীয় তদন্তে রশিদা সুলতানা গনিকে শাস্তি প্রদান করলেও মোমিনুল ইসলাম মামুন রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

মোমিনুল ইসলাম মামুন বর্তমান রেলমন্ত্রী নিকটাত্মীয় পরিচয় দিয়ে ইতিমধ্যে সুইপার ও খালাসী পদের নিয়োগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেশ কিছু লোকজনের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে চট্টগ্রামের ঈদগাঁও বৌ বাজার এলাকায় একটি ডুপ্লেক্স ফ্লাট ক্রয় করেছেন তার নামে পাশাপাশি তার স্ত্রীর নামে আরোও একটি ফ্ল্যাট ক্রয় করেছেন সম্প্রতি।

রেল সূত্রে জানা যায় তার রয়েছে নামে-বেনামে একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট ও এলিয়ন গাড়ি, সে তৃতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা হলেও চলাফেরা করে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তার মতো। ইতিমধ্যে তিনি নিয়ম বহির্ভূতভাবে মালয়েশিয়া-সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ড ভ্রমণ করেছেন বিনোদনের জন্য স্বপরিবারে।

তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী এত বৃত্ত-ভৈরবের উৎসের নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় চলছে যা দুদক ও গোয়েন্দা বিভাগের তদন্তে বেরিয়ে আসবে।

 তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী যার বাৎসরিক আয় তিন লক্ষ টাকার নিচে হওয়া সত্ত্বেও অবৈধ উপায়ে উপার্জিত টাকা বৈধ করার জন্য মোমিনুল ইসলাম মামুন আয়কর বিভাগের বিভিন্ন দালালদের নিকট ধরনা দিচ্ছেন বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছেন।

মোমিনুল ইসলাম মামুনের অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে শতকোটি টাকার আই এর বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক এম আর মঞ্জু বলেন তিনি আমাদের সক্রিয় একজন সদস্য তিনি সিআরবি শাখার সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ছিলেন বর্তমানে আমার জানামতে সরকারি দলের সাথে আতাত করে নানা অপকর্মের সাথে যুক্ত রয়েছে কাজেই তার বিষয়ে বিস্তারিত মন্তব্য করা সম্ভব নয়।

মোমিনুল ইসলাম মামুনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিজেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল রেলওয়ে শ্রমিক ও কর্মচারীদের সাথে যুক্ত রয়েছেন শিকার করেন বলেন  বর্তমানে তাকে মার্কেটিং বিভাগের একটি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তিনি আরো জানান আমার দুইটি ফ্লাট রয়েছে তবে তা ব্যাংকের থেকে লোন নিয়ে নেওয়া হয়েছে আর বাকি যা অভিযোগ আছে সব অস্বীকার করে তিনি নিজেকে নির্দোষ বলে মনে করেন ।

মোমিনুল ইসলাম মামুনের নানা অনিয়মের বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন তাহার অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত করে ব্যবস্থা করার জন্য গোয়েন্দা বাহিনী ও দুদক কর্মকর্তাদের নিকট অনুরোধ জানাচ্ছি।