ঝালকাঠি প্রতিনিধি: সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর ভাঙনের মুখে পড়ে দিশেহারা ঝালকাঠি জেলার নদীর তীরভর্তি বাসীন্ধারা। আতংকেই কাটাচ্ছে দিনরাত। বর্ষার আগেই তীব্র নদী ভাঙ্গনে হতাশায় তারা ইতিমধ্যেই মাথা গোজার ঠাই খুচছে দরিদ্র পরিবার গুলো। গত কয়েকদিনে ঝালকাঠি সদর উপজেলার দিয়াকুলসহ নলছিটি পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের সিকদার পাড়া ও পুরানবাজারসহ বেশ কয়েকটি এলাকা ভাঙ্গলের কবলে পরে।। গত কয়েক বছরে এখানকার অর্ধেকেরও বেশি অংশ নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। যার ফলে অনেক পরিবার সহায়সম্বল হারিয়ে অন্যত্র বসবাস করছেন। আবার কেউ সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন। এখন নতুন করে ভাঙনের আতংকে নদীর পাড়ে বসবাস করছেন আরও অনেক পরিবার। অপরদিকে রাজাপুর উপজেলার পালট, চল্লিশ কাওনিয়াসহবেশ কয়েকটি বিষখালী নদীর তীরভর্তি এলকায়দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙ্গন ।
এদিকে নলছিটি-দপদপিয়া রাস্তার মল্লিকপুর থেকে খোঁজাখালি এলাকার অংশটুকু নদীতে হারাতে চলছে। এখানে তীব্র ভাঙ্গন অব্যহত থাকায় নদী এখন রাস্তার কাছে চলে এসেছে। ভাঙনের কবলে পড়েছে সিকদার পাড়ার ঐতিহ্যবাহী কাজী বাড়ির মসজিদটিও।
এ ব্যাপারে নলছিটি পৌরসভার প্যানেল মেয়র কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন আলো জানান, শিল্পমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে কিছু এলাকায় ভাঙন রোধে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিলো। তবে ভাঙনের তীব্রতা অনেক জায়গায় বেড়ে যায়। আসন্ন বর্ষার আগেই ভাঙন রোধে নতুন করে পদক্ষেপ প্রয়োজন । অনেকগুলো পরিবার আতংকের মধ্যে ঝুকি নিয়ে বসবাস করছে বলেন তিনি। অন্যদিকে রাজাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনির বলেন, নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে উপজেলা পরিষদের কোন কার্যক্রম নাই । নদী ভাঙ্গলে কবলিত মানুষ খুব অসহায় তাদের আমারা যতটুক সম্ভাব সাহয্য করে আসছি। দীর্ঘদিন যাবৎ আমাদের এমপি সাহেব একটি ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্ধেগ নিয়েছিলেন তা আর আলোর মুখ দেখেনি। বর্তমানে পুণরায় ডিউ লেটার পাঠিয়েছে এবং সংসদে উপস্থান করবেন বলে এমপি মহোদয় বলছেন। আমরা দ্রুত নদী ভাঙ্গন রক্ষায় সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।