দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে জিকেবিএসপি’র প্রকল্পের উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ব্যবহার

প্রকাশঃ ২০২৩-০২-১৯ - ১৪:৫১

খুলনা : খাদ্য উৎপাদনে বোরো ধান বিশেষ ভূমিকা রাখছে। নিবিড় ফসল উৎপাদন কর্মসূচির ২০২২-২৩ আওতায় রবি মৌসুমে গোপালগঞ্জ-খুলনা-বাগেরহাট-সাতক্ষীরা-পিরোজপুর জিকেবিএসপি প্রকল্প ৫ জেলায় একজন করে ৬০জন কৃষক ৬০টি প্লট স্থাপন করে বোরো আবাদ করেছেন। এই মৌসুমে মাঠে রোদ ও আবহাওয়া ভালো থাকার কারণে আবাদ ভালো হয়েছে। ফলন বাম্পার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রকল্প থেকে কৃষকদের বীনা মূল্যে সার, বীজ ও প্রশিক্ষণসহ নানা রকম উপকরণ বিতরণ করা।

সূত্র জানায়, খুলনার বটিয়াঘাটার বয়ারভাঙ্গা ও ফুলতলার মশিয়ালী। বাগেরহাটের সদর উপজেলার সুনগর, ফকিরহাটের কাঠালতলা ও কচুয়ার শিয়ালকাঠী। সাতক্ষীরার দেবহাটার বহেরা, তালার ভাঙ্গানলতা ও কলারোয়ার উত্তর সোরাবাড়িয়া, গোপালগঞ্জে জেলার টুঙ্গিপাড়া সদর উপজেলার সিংগীপাড়া এবং পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার শেখ মাটিয়াগ্রামে এই বোরো ধান আবাদ করা হযেছে। এ বছর হাইব্রিড ও ব্রি-৬৭জাতের চাষ করা হয়েছে। প্রতি হেক্টরে হাইব্রিড ৮ মেট্রিকটন এবং ব্রি-৬৭ ৬মেট্রিকটন ফলন হবার সম্ভবনা রয়েছে। বাজারে ধানের দাম বেশী থাকায় বোরো চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের। সেচ,সার,কীটনাশকসহ কৃষি উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি হলেও সব কিছু এই প্রকল্প থেকে বিনা মূল্যে দেয়া হয়েছে।

গোপালগঞ্জ-খুলনা-বাগেরহাট-সাতক্ষীরা-পিরোজপুর জিকেবিএসপি প্রকল্প কর্মকর্তা অমরেন্দ্রনাথ বিশ^াস বলেন, এই মৌসুমে মাঠে রোদ ও আবহাওয়া ভালো থাকার কারণে আবাদ ভালো হয়েছে। ফলন বাম্পার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই প্রকল্প থেকে সারা বছর সবজি চাষ করে কৃষক লাভবান হয়েছেন। কৃষক অর্থনৈতিক ভাবে উপকৃত হচ্ছেন। তিনি বেশী করে কৃষকদের আবাদ করার আহবান জানান।