দাকোপে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভেঙে গেছে বাঁধ : ৩ হাজার পরিবার পানিতে নিমজ্জিত

প্রকাশঃ ২০২১-০৫-২৬ - ২০:৪২

আজগর হোসেন ছাব্বির : ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উপকুলিয় উপজেলা দাকোপের কামিনিবাসীয়ায় ভেঙে গেছে বাঁধ। জোয়ারের তোড়ে বাঁধ ছাপিয়ে চালনা পৌরসদরসহ বেশ কিছু এলাকায় পানি ঢুকে বসত ভিটে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিমজ্জিত হয়েছে। উপজেলায় প্রায় ৩ হাজার পরিবার ব্যাপক ক্ষতির মুখে। এলাকাবাসী এই বিপর্যয়ের জন্য পাউবোর উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন।
স্থানীয় নদ নদীতে স্বাভাবিক জোয়ার অপেক্ষা আনুমানিক ৩ ফুট পানি বৃদ্ধি পায়। চারিপাশে নদী বেষ্টিত উপজেলার ৯ টি ইউনিয়ন ও চালনা পৌর এলাকার ১০/১২ টি স্থানে ওয়াপদা বাঁধ ছাপিয়ে প্রত্যন্ত এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ঢাকী নদীর পানির চাপে তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের কামিনিবাসিয়া সোনার বাংলা কলেজ এলাকার বেড়ীবাঁধ বুধবার দুপুরের জোয়ারে ভেঙে যায়। ফলে তিলডাঙ্গা ইউনিয়নসহ ৩১ নং পোল্ডার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। উপজেলার কালাবগী, নলিয়ান, সুতারখালী, বটবুনিয়া বাজার, ঝালবুনিয়া, পানখালী জাবেরের খেয়াঘাট, পানখালী পুরাতন ফেরী ঘাট, খোনা, লক্ষিখোলা পিচের মাথা, চালনা পৌরসভার গোড়কাটি এবং খলিষা এলাকার বাঁধ ছাপিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে যায়। এর মধ্যে গোড়কাটি, পুরাতন ফেরীঘাটসহ বেশ কয়েকটি এলাকার বেড়ীবাধ অত্যান্ত ঝুকির মুখে আছে। কালাবগী ফকির কোনা, ঝুলনপাড়া, নলিয়ান বাজার, পানখালী জাবেরের খেয়াঘাট, চালনা পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডসহ বেশ কিছু এলাকায় ওয়াপদা বেড়ীবাঁধের বাইরে বসবাসকারী প্রায় ৩ হাজার পরিবার পানিতে পুরোপুরি নিমজ্জিত। দাকোপ উপজেলা চেয়ারম্যান মুনসুর আলী খান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিন্টু বিশ^াস, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ শেখ আবুল হোসেন, চালনা পৌর মেয়র সনত কুমার বিশ^াস এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শেখ আব্দুল কাদের ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন। উপজেলা প্রশাসন তাৎক্ষনিক ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরন করেছেন। উপজেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং ইউনিয়ন পরিষদের তত্বাবধানে ঝুঁকিপূর্ন এলাকাসহ ভেঙে যাওয়া বাঁধ নির্মানের কাজ চলছে বলে জানা গেছে। উপজেলার কামিনিবাসিয়া এবং পানখালী এলাকায় প্রায় ৮ শ’ শ্রমিক কাজ করছে। এ ছাড়া অন্যান্য এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদের তত্বাবধানে মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ রক্ষার জন্য প্রানপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। চলমান পরিস্থিতিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কিছু জিও ব্যাগ দিয়ে দ্বায় সেরেছেন বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ পানি উন্নয়ন বোর্ড দীর্ঘদিন ঝুঁকিতে থাকা এ সকল বাঁধ নির্মানে এগিয়ে না আসায় এ অবস্থা। চলমান পরিস্থিতির জন্য তাদের উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন তারা। এ ব্যাপারে পাউবোর দায়িত্বশীল পর্যায়ের গতানুগতিক উত্তর বরাদ্দ না থাকায় তাদের করনীয় কিছুই ছিলনা।