দাকোপে নিম্ন মানের ইট দিয়ে রাস্তা নির্মানে চেষ্টা

প্রকাশঃ ২০২০-০৪-২২ - ১৯:২৬

আজগর হোসেন ছাব্বিরঃ দাকোপের মৌখালী এলাকায় প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা করে নিম্ন মানের ইট দিয়ে রান্তা নির্মানের চেষ্টা। বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী সোলিংয়ে বসানো ইট তুলে ফেললে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে নির্মান কাজ বন্দ হয়ে যায়।
এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, মৌখালী পূর্বপাড়া ময়নুদ্দিন বয়াতির বাড়ী হতে আব্দুল্লাহ শেখের বাড়ী পর্যন্ত ৭ শ’ মিটার রাস্তার ইট সোলিংয়ের কাজে ব্যাপক অনিয়ম দূর্ণীতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। জানা যায় দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের বরাদ্দে একই প্যাকেজে ৫৪ লক্ষ টাকার দুটি কাজ। যার একটি এই ডবল ইটের সোলিং রাস্তার কাজের মান নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় আলামিন ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজটি বাস্তবায়ন করছে। সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগকারী মহিউদ্দিন বয়াতি জানায়, সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী নীচে ৬ ইঞ্চি বালি এবং ১ নাম্বার ইট রাস্তা নির্মান কাজে ব্যবহার করার কথা। কিন্তু ঠিকাদার শুরু থেকে ২/৩ নং ইট দিয়ে কাজটি করার চেষ্টা করে। এ ছাড়া ৬ ইঞ্চির জায়গায় ২/৩ ইঞ্চি বালি দিয়ে চরম দূর্ণীতি অনিয়মের আশ্রয় নেওয়ার অভিযোগ করা হয়। সেখানে উপস্থিত রফিকুল শেখ, মাসুদুল আলম, হাফিজুর রহমান, রবিউল বয়াতি, জাকির হোসেনসহ অনেকেই জানায়, আমরা শুরু থেকে ঠিকাদারকে নিম্ন মানের ইট ব্যবহার না করার অনুরোধ করি। কিন্তু তিনি সেটা আমলে না নিয়ে নির্মান কাজ অব্যহত রাখে। যে কারনে গত ২৩ মার্চ আমরা এলাকার কয়েক শ’ মানুষ কাজের অনিয়ম দূর্ণীতি বন্দের দাবীতে গনস্বাক্ষরসহ দাকোপ উপজেলা চেয়ারম্যান বরারবর লিখিত অভিযোগ করি। জানা যায় লিখিত অভিযোগের পর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ঠিকাদারকে নির্মান কাজ বন্দ রাখার নির্দেশ দেয়। কিন্তু সেই নির্দেশ উপেক্ষা করে নিম্ন মানের কাজ অব্যহত রাখলে বুধবার সকালে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী রাস্তার সেই ইট তুলে ফেলে। এরপর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ঠিকাদার কাজটি বন্দ রাখতে বাধ্য হয়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দাকোপ উপজেলা চেয়ারম্যান মুনসুর আলী খান অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বিষয়টির তদন্তসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য তাৎক্ষনিকভাবে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শেখ আব্দুল কাদের এ বিষয়ে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে কাজ বন্দ রাখার জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়। তিনি আরো বলেন বুধবারের ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে আমি ঠিকাদারকে ডেকে কাজ বন্দ রাখার জন্য ফের কঠোরভাবে নির্দেশ দিয়েছি। পরবর্তীতে তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঠিকাদার নুর মোহাম্মাদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিলো। ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সেটি সমাধান হওয়ার কথা। কিন্তু তার আগেই এই পরিস্থিতি ঘটে গেছে।