দাকোপে প্রতারনা ও জালিয়াতির চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস

প্রকাশঃ ২০২১-০৮-১৭ - ১৬:২৪

আজগর হোসেন ছাব্বির, দাকোপ : দাকোপে চেক জালিয়াতি ও প্রতারনার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১০ হাজার টাকা ঋনের বিপরীতে দেওয়া চেকের পাতা ব্যবহার করে সাড়ে ২১ লাখ টাকা আদায়ের অপচেষ্টা। ভুক্তভোগী নিরুপায় হয়ে চেক উদ্ধারে চক্রের ৪ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছে।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, কালীনগর গ্রামের মৎস্য ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন বিশেষ প্রয়োজনে গত ০৬/০৯/২০২১৮ তারিখ চালনা বাজারের ভবেন্দ্রনাথ রায়ের নিকট থেকে ১০ হাজার টাকা ধার নেয়। ধারের টাকার সিকিউরিটি হিসাবে তখন আমজাদ হোসেন রুপালী ব্যাংক চালনা বাজার শাখার নিজ নামের ১০১৩৩ নং হিসাবের একটি স্বাক্ষর যুক্ত ফাকা চেকের পৃষ্টা ভবেন্দ্রনাথকে দেয়। জানা গেছে আমজাদ হোসেন পরবর্তীতে টাকা পরিশোধ পূর্র্বক চেকের পৃষ্টা ফেরতের তাগাদা দিলে ভবেন্দ্রনাথ নানা টালবাহানায় সময় ক্ষেপন করতে থাকে। সম্প্রতি আমজাদ হোসেন জানতে পারে ভবেন্দ্রনাথ সেই চেকটি চালনা আছাভূয়া এলাকার বাবলু সানা ও ফারুক সরদারের সহযোগীতায় তারই প্রতিপক্ষ কালীনগর গ্রামের এসএম মেহেদী হাসানের নিকট হস্তান্তর করেছে। তারা ৪ জন পরষ্পর যোগসাজসে স্বাক্ষরযুুক্ত ফাকা চেকের পৃষ্টায় ২১ লাখ ৫০ হাজার টাকা লিখে ব্যাংক ডিজানার করিয়ে মামলা দায়েরের পায়তারা করছে। এমন আশংকায় গত ১০ আগষ্ট ২০২১ আমজাদ দাকোপ থানায় চেকের বিষয়টি উল্লেখ ৪ জনের বিরুদ্ধে ৩৫৩ নং জিডি এন্ট্রি করে। এরপর বিষয়টি নিরসনের জন্য উভয় পক্ষকে নিয়ে দাকোপ উপজেলা আ’লীগের কার্যালয়ে এক জনাকীর্ণ শালিস অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগ সভাপতি আলহাজ¦ শেখ আবুুল হোসেন, চালনা পৌর মেয়র সনত কুমার বিশ^াস, ইউপি সদস্য শেখ আব্দুল কাদের, জেলা পরিষদ সদস্য কবির হোসেনসহ সকল গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। শালিসে সকলের সামনে অভিযুক্তরা পরষ্পর যোগসাজসে আমজাদের নিকট থেকে ১০ হাজার টাকার বিপরীতে ওই চেকের পৃষ্টার অপব্যবহার করে ২১ লাখ ৫০ হাজার টাকা আদায় চেষ্টার ষড়যন্ত্রের কথা স্বীকার করে। তবে চেকটি তখন অভিযুক্ত মেহেদীর নিকট থাকায় এবং শালিসে সে না থাকায় চেকটি উদ্ধার হয়নি। এ ঘটনার পর অভিযুক্তরা গাঁ ঢাকা দেয়। এ অবস্থায় নিরুপায় হয়ে আমজাদ প্রতারনা ও জালিয়াত চেষ্টার অভিযোগ এনে চেক উদ্ধারের জন্য সিনিঃ জুডিঃ ম্যাজিষ্ট্রেট দাকোপ আমলী আদালতে ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য দাকোপ থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আলহাজ¦ শেখ আবুল হোসেন বলেন, শালিসে অভিযুক্তরা তাদের এই প্রতারনা ও অপরাধের কথা অকপটে স্বীকার করেছে। আমরা সকলেই এই চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা এবং ক্ষতিগ্রস্থ আমজাদের চেকটি উদ্ধারে আইনের সহযোগীতা কামনা করি।