ঢাকা অফিস : শুরু হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসু’র নবনির্বাচিত কার্যকরী পর্ষদের পথ চলা। আজ শনিবার ডাকসুর সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান সভাপতিত্বে এক সভার মাধ্যমে দায়িত্ব বুঝে নেন ডাকসুর ২৫টি পদে নির্বাচিত শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা।
সভায় প্রধানমন্ত্রীকে ডাকসুর আজীবন সদস্যপদ দেয়ার প্রস্তাব পাশ হয়েছে। কিন্তু এই নির্বাচন যেহেতু বির্তকিত সেহেতু প্রধানমন্ত্রীকে আজীবন সদস্যপদ দেয়ার বিষয়ে বিরোধিতা করেন ভিপি নূর। তবে ভিপি ছাড়া বাকী ২৪ জন প্রধানমন্ত্রীকে আজীবন সদস্যপদ দেয়ার প্রস্তাবে একমত হয়েছেন।
আজ বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন সিনেট ভবনের অডিটোরিয়ামে এই সভা শুরু হয়। এই এর মধ্য দিয়ে ভিপি নূরুল হক নূর ও জিএস গোলাম রাব্বানীর নেতৃত্বাধীন ডাকসুর ৩৬৫দিনের মেয়াদ শুরু হলো।
একইভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হল সংসদে নির্বাচিতরাও শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব বুঝে নেন। হল সংসদের সভা বসে সংশ্লিষ্ট হলগুলোতে। গঠনতন্ত্র অনুসারে হল সংসদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন প্রাধ্যক্ষরা।
সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি আখতারুজ্জামান বলেন, আমি আশা করছি ভিপি জিএসসহ সকল সম্পাদক তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে। বিশ্ববিদ্যালয় তাদেরকে সব ধরণের সহায়তা করবে। সকল সমস্যা চিহ্নিত করে ডাকসু নেতৃবৃন্দ প্রশাসনকে জানাবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় তা সমাধানে এগিয়ে আসবে।
এদিকে, আজও পুর্ননির্বাচন, ভিসিসহ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত সকলের পদত্যাগের দাবিতে ক্যাম্পাসে ছাত্রদল মুখে কালো কাপড় বেধে মিছিল করেছে। এছাড়া ডাকসুর প্রথম কার্যনির্বাহী সভাকে প্রত্যাখ্যান করে প্রশাসন ও ডাকসুকে লাল কার্ড দেখিয়েছে বাম ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সকালে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কর্মসূচি পালন করে তারা। এ সময় অনিয়মের অভিযোগে ডাকসু পুনর্নির্বাচন দাবি করে তারা। বক্তারা বলেন, দাবি উপেক্ষা করায় ডাকসুর কার্যনির্বাহী সভায় শিক্ষার্থীদের আস্থা নেই। সে কারণে প্রশাসন ও ডাকসুকে লাল কার্ড দেখিয়েছে তারা। আগামী ২৮শে মার্চ পুনর্নির্বাচনসহ ৪ দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে স্মারকলিপি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
দীর্ঘ ২৮ বছর ১০ মাস পর ১১ই মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ- ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হল ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ৯ টিতেই পুর্ণ প্যানেলে জয় পায় ছাত্রলীগ, আর ৩টি হলে জয় পায় স্বতন্ত্র জোট।
মেয়েদের তিনটি হলে ভিপি, জিএসসহ বেশীরভাগ পদে জয় পায় স্বতন্ত্র জোট। অন্য ছয়টি হলে ছাত্রলীগ ও স্বতন্ত্র জোট পদ ভাগাভাগি করে। স্বতন্ত্র জোট ভিপি পদে ছয়টি হলে এবং জিএস পদে তিনটি হলে জয়ী হয়।