দীর্ঘদিন পর স্বরূপে ফিরছে শিক্ষাঙ্গন :নবীণ-প্রবীণ শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত খুবি ক্যাম্পাস

প্রকাশঃ ২০২২-০২-২২ - ১৯:১৫

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিনিধি:

করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন ধরে সশরীরে ক্লাস বন্ধ থাকার পর আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফের শুরু হয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম।

আজ নতুন শিক্ষাবর্ষের (২০২০-২১) প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীদেরও প্রথম পদার্পণ ক্যাম্পাসে। ফলে নবীণ-প্রবীণের পদচারণায় মুখরিত ছিলো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) ক্যাম্পাস। সকালেই দেখা যায় শত শত শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের একাডেমিক ভবন অভিমুখে প্রবেশ করছে। সকাল থেকে প্রত্যেক ডিসিপ্লিনে ছিলো ভিন্ন আয়োজন ও ব্যস্ততা। নবীণ শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করেছে পুরাতন শিক্ষার্থীরা। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্ব স্ব ডিসিপ্লিনও এমন আয়োজন করেছে। অনুষদগুলোতে ব্রিফিং হয়েছে, নবীণ-বরণ হয়েছে। সবখানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও ভাবমূর্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি এখান থেকে বিশ্বমানের জ্ঞান অর্জন করে বিশ্বমানের নাগরিক হিসেবে দক্ষতা ও যোগ্যতা দিয়ে নিজেদের ভবিষ্যত জীবনের সোপান তৈরি, দেশ ও জাতির সেবা করার আহবান জানানো হয়। প্রথম দিনে নবীণ শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় ও তাদের কোর্স সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়। আইন ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মো. ওয়ালিউল হাসানাত জানান, প্রথম বর্ষের প্রথম দিনেই তাঁর ডিসিপ্লিনে নবীণ বরণ, মুদ্রিত কোর্সকারিকুলার পুস্তিকা বিতরণসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়। সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর মোছা. তাসলিমা খাতুন জানান, তাদের ডিসিপ্লিনে প্রথম বর্ষের নবীণ শিক্ষার্থীদের সাথে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের পরিচিতি, কোর্স সম্পর্কে ধারণা প্রদান, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থাপনার সাথে পরিচিতি করতে একসঙ্গে নবীণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে ক্যাম্পাস পরিদর্শন করানো হয়। এ সময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে ছিলো রজনীগন্ধার স্টিক। সাতক্ষীরা থেকে আগত প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সীমা রায় তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে স্বপ্ন ছিলো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বো। সে আশা পূর্ণ হয়েছে। এই ক্যাম্পাস অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ। তাই আমার অভিভাবকও নিশ্চিন্ত এখানে ভর্তির সুযোগ পাওয়ায়। চুয়াডাঙ্গা থেকে প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী আব্দুস সালাম অনুভূতি ব্যক্ত করে বলে সুন্দর ক্যাস্পাস, ফুলে ফুলে সাজানো। পলাশ, গাদাসহ অসংখ্য ফুলে শোভিত ক্যাম্পাসে ভার্তি হতে পেরে আমি আনন্দিত। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করেই অসংখ্য প্রস্ফুটিত নানা বর্ণের ফুলই যেন আমাদেরকে বরণ করে নিয়েছে।