দ. আফ্রিকায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলেসহ নিহত ৫

প্রকাশঃ ২০২৩-০২-২৫ - ১১:২৭

ইউনিক ডেস্ক : দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন শহরে লরিচাপায় একই পরিবারের বাবা-ছেলেসহ পাঁচ বাংলাদেশি নিহত ও দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। নিহত পাঁচ প্রবাসীরই বাড়ি ফেনী বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন ইসমাইল হোসেন (৩৫), দীন মোহাম্মদ রাজু (৩৩), মোস্তফা কামাল পোপেল (৩৫), আবুল হোসেন (৪৫) ও নাজিম হোসেন (১০)। এদের মাঝে আবুল হোসেন ও নাজিম সম্পর্কে বাবা-ছেলে।

নিহতদের পরিবারের বরাত দিয়ে দাগনভূঞার জায়লস্কর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ বলেন, ‘এরা সবাই ভিসা-সংক্রান্ত প্রয়োজনে কেপটাউন যাচ্ছিলেন। পথে মালবাহী লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাদের প্রাইভেটকারকে চাপা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।’

ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক লিটন বলেন, ‘খবর শুনে আমরা বিরলীতে ইসমাইলের বাড়িতে ছুটে যাই এবং পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করি। ওই বাড়িতে শোকের মাতম চলছে।’ মরদেহ দেশে আনতে পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হবে বলেও জানান তিনি।

নিহত ইসমাইল হোসেনের ভাই মিজানুর রহমান বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার আবদিন থেকে কেপটাউনের ফ্রান্স অ্যাম্বাসির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন ইসমাইলসহ সাত প্রবাসী। পথে একটি লরিচাপায় ঘটনাস্থলে পাঁচজন নিহত হন।’

ইসমাইল হোসেনের বাবা শরিয়ত উল্লাহ বলেন, দুইমাস পর ইসমাইলের দেশে আসার কথা ছিল। বিয়ের প্রস্তুতি চলছে। ১১ বছর ধরে সে সাউথ আফ্রিকায় থাকে। আমি ছেলেকে হারিয়েছি তবে লাশটি দ্রুত ফেরত চাই।’

নিহত মোস্তফা কামাল পোপেলের ভাই আইনজীবী মোস্তফা জামাল নওফেল বলেন, ২০১০ সালে জীবিকার তাগিদে আফ্রিকা পাড়ি দেন মোস্তফ। তার দুই বছর বয়সী একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। কেপটাউন শহর থেকে এয়ারপোর্টে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশ সময় ২টার দিকে তিনি খবর পান।

নিহত ও আহত ব্যক্তিদের আত্মীয়-স্বজনের তথ্যমতে, প্রবাসী আনিসুল হক মিলনের দেশে ফেরত আসার কথা ছিল। তাকে কেপটাউন এয়ারপোর্টে বিদায় জানাতে যাওয়ার পথে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মিলনও আহত হন।

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রবাসীরা বলছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এরআগে সড়ক দুর্ঘটনায় একসঙ্গে এত সংখ্যক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়নি। এ ঘটনায় দেশটিতে বসবাস করা বাংলাদেশিদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা আক্তার তানিয়া জানান, দক্ষিণ আফ্রিকায় সড়ক দুর্ঘটনায় তার উপজেলার দুই প্রবাসী নিহত ও একজন আহত হয়েছেন।