নলছিটিতে ইয়াবা দিয়ে যুবকে ফাসানোর অভিযোগ

প্রকাশঃ ২০১৭-১০-২৫ - ০১:৪৫

মো:নজরুল ইসলাম, ঝালকাঠি : ঝালকাঠির নলছিটিতে ২০ পিচ ইয়াবাসহ নাঈম মল্লিক (২২) নামে এক যুবককে আটক করার ঘঘটনায় ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় শহরের পোষ্ট অফিস সড়ক থেকে ওই যুবককে আটক করা হয়। নাঈমের পরিবারের অভিযোগ জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে শত্রুতা মুলক ভাবে তাদের প্রতিপক্ষরা পুলিশকে ম্যানেজ করে ইয়াবা দিয়ে ফাসিয়েছে। এনিয়ে এলাকাবাসীর মঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

আটক নাঈমের পিতা শাহীন মল্লিকের অভিযোগে জানাযায়, পৌরসভার নাঙ্গুলী গ্রামের শাহীন মল্লিকের ছেলে নাঈম মল্লিক একটি দোকানে থাইগ্লাসের কাজ করে। এলাকায় সে একজন নিরিহ ছেলে হিসেবে পরিচিত। শাহীন মল্লিকের পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশী নলছিটি পৌরসভার কর্মচারী প্রিন্সের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। প্রিন্স বিভিন্ন সময় শাহীন মল্লিকের পরিবারের ক্ষতি করার চেষ্টা চালিয়ে আসছে। বিরোধের জের ধরে শাহীন মল্লিকের ছেলে নাঈম মল্লিককে মাদক দিয়ে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় প্রিন্স। প্রিন্সের সঙ্গে নলছিটি থানা পুলিশের সখ্যতা থাকায় গত রবিবার সন্ধ্যায় ২০ পিস ইয়াবা দিয়ে নাঈমকে আটক করা হয়। পুলিশ প্রিন্সের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নাঈমকে আটক করেছে বলে অভিযোগে দাবী করেন ওই যুবকের পরিবার। তিনি আরো বলেন, আমাদের সঙ্গে জমি নিয়ে পৌরসভার কর্মচারী প্রিন্সদের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে। এ কারণে প্রিন্স পুলিশ দিয়ে আমার ছেলেকে ইয়াবা দিয়ে ধরিয়ে দিয়েছে। আমরা গরিব মানুষ, আমাদের কথা কেউ শোনে না। আমাদের বিপদে ফেলার চেষ্টা আগেও অনেকবার করেছে প্রিন্স। পুলিশ আমার ছেলেকে আটক করে পকেটে ইয়াবা দিয়ে লোকজন ডেকে তা দেখিয়েছে। সবকিছু সাজানো নাটক। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত আমি তাদের বিচার চাই। আমার নিরিহ ছেলের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

এছাড়াও নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক চায়ের দোকানী জানান, নাঈম এলাকায় নিরিহ যুবক হিসেবে পরিচিত। সে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে। কখনো তাকে সিগারেট পান করতেও কেউ দেখেনি। সে ইয়াবা ব্যবসা বা সেবন করে এটা কেউ বিশ্বাস করবে না। অন্যায়ভাবে ছেলেটিকে আটক করা হয়েছে।

এ ব্যাপরে নলছিটি পৌরসভার কর্মচারী প্রিন্সের মুঠোফোনে কল দিলেফোন রিসিব করেন তিনি।

এ ব্যাপারে নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম সুলতান মাহামুদ জানান, স্থানীয় জনতাই নাঈমকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। এখানে আমাদের কিছুই করার নেই। পুলিশ কাউকে মাদক দিয়ে আটক করে না। যার কাছে মাদক পাওয়া যায় তাকেই গ্রেফতার করে । তারপরও বিষয়টি তদন্ত চলতেছে।