নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস ঘোষণার দাবিতে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ

প্রকাশঃ ২০২০-০৮-২৪ - ১৬:৪৯

আশরাফুল ইসলাম গাইবান্ধাঃ ২৪ আগস্টকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবিতে ২৪ আগস্ট সোমবার বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র গাইবান্ধা জেলা শাখার উদ্যোগে স্থানীয় পৌর শহীদ মিনারে এক নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের জেলা সভাপতি সুভাসিনী দেবীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাসদ মার্কসবাদী গাইবান্ধা জেলা আহবায়ক কমরেড আহসানুল হাবীব সাঈদ, সংগঠনের জেলা সাধারণ স¤পাদক নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী, রাহেলা সিদ্দিকা, লিজা উল্যা প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল জেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বক্তারা বলেন, ১৯৯৫ সালের এই দিনে দিনাজপুরের কিশোরী ইয়াসমিনকে একদল পুলিশ পৈশাচিকভাবে গণধর্ষণ করে হত্যা করে। প্রতিরোধ গড়ে ওঠে দিনাজপুরসহ সারাদেশে। আন্দোলন সংগ্রামে পুলিশের গুলিতে অনেকে শহীদী মৃত্যু বরণ করে এবং হত্যাকারীদের ফাঁসি হয়। সেই শহীদদের স্মরণ ও সেই চেতনাকে ধারন করে সেদিন সম্মিলিত নারী সমাজ এই দিনটিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ হিসাবে ঘোষনার দাবি জানান। সেই দাবি আজও অপুরিত। বক্তারা অবিলম্বে এই দিনটিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস হিসেবে ঘোষণার আহবান জানান। এছাড়া বক্তারা আরও বলেন, সারাদেশের ন্যায় এই সময় গাইবান্ধা জেলায়ও কয়েকটি নারী শিশু নির্যাতন-ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। ধর্ষক বিত্তশালী ও ক্ষমতাবান হওয়ায় পার পেয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি অন্যতম ঘটনা হলো গাইবান্ধা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ইউনুস আলী তার গৃহপরিচারিকা কিশোরীকে ধর্ষণ করে এবং তার বিরুদ্ধে থানায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হলেও তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। অপরদিকে ৫ম শ্রেনীর ছাত্রী লামিয়ারও ধর্ষণ কারীসহ অনেক নির্যাতককে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি ফলে বাড়ছে নির্যাতিতার সংখ্যা নেই কোন প্রশাসনিক তৎপরতা। যুক্ত হলো আর এক খুনের ঘটনা যদি সুষ্ঠু বিচার হতো তাহলে সেতুকে অকালে খুন হতে হত না। ফলে বক্তারা উদ্বেগ ও বিস্ময় প্রকাশ করে বলেনম প্রশাসনের এ ভুমিকার কারণে অপরাধ প্রবনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজ সমাজে বিচার হীনতার কারণে খুন, ধর্ষন হচ্ছে। তাই অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে গিদারীর কলেজ ছাত্রী নববধু সেতুর হত্যাকারীসহ গাইবান্ধা জেলায় সংগঠিত নারী শিশু নির্যাতনকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান। সেইসাথে মাদক-জুয়া, অপসংস্কৃতি-অশ্লীলতা, পর্নোগ্রাফি, নারী-শিশু নির্যাতন-হত্যা ও মৌলবাদ- সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান।