পাইকগাছায় ওয়াপদার বাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত

প্রকাশঃ ২০২০-০৮-২০ - ২০:০৮

জি,এ, গফুর, পাইকগাছা, খুলনাঃ পাইকগাছায় অমাবশ্যার প্রবল জোয়ারের পানির চাপে ৪টি ইউনিয়নের ৭টি স্থানে ওয়াপদার বাঁধ ভেঙ্গে ও ফুসে উঠা জোয়ারের পানি ওয়াপদা ছাপিয়ে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। যাতে মৎস্য ঘের, ফসলের ক্ষেত ও বাড়ী-ঘর ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পাউবো’র উদ্যোগে সাময়িকভাবে বাঁধ মেরামত করা হলেও বেতবুনিয়ার পতন আবাসন প্রকল্পের ৫শতাধিক পরিবার পানির মধ্যে বসবাস করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নের বেতবুনিয়া পতন আবাসন প্রকল্প ও গুচ্ছগ্রাম ফুঁসে উঠা জোয়ারের পানি প্রবেশ করে এলাকা পানিতে থৈ থৈ করছে। একই ইউনিয়নের টেংরামারী ও ভাঙ্গা হাড়িয়ার ওয়াপদার বাঁধ ভেঙ্গে বুধবার ৫ হাজার বিঘা চিংড়ি ঘের প্লাবিত হয়ে ফসল ও মাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়। যা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রশাসনের উদ্যোগে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সহ¯্রাধিক লোক ভাঙ্গনরোধ করলেও বৃহস্পতিবার দুপুরে আবারো কিছু অংশ ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে এলাকা প্লাবিত হয়। বিকেলে ভাটার সময় স্থানীয় চেয়ারম্যান এস,এম, এনামুল হক ৪শতাধিক লোক নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে বাঁধটি মেরামত কাজ শুরু করে। এ সময় শতাধিক লোক টেংরামারী পুরাতন গেট সংলগ্ন ওয়াপদার ভাঙ্গনও মেরামত করে। অপরদিকে, দেলুটি ইউনিয়নের চকরি-বকরি বদ্ধ জলমহল ও গেওয়াবুনিয়ার ওয়াপদার বাঁধ উপচে জোয়ারের পানি এলাকায় প্রবেশ করে এলাকায় ব্যাপক মাছ ও ফসলের ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রিপন মন্ডল বলেন, দ্বীপ বেষ্টিত দেলুটি সব সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার। এদিকে, গদাইপুরের কচুবুনিয়া ও লতার কাঠামারীর ওয়াপদার রাস্তা জোয়ারের পানি উপচে শ’শ’ বিঘার চিংড়ি ঘের প্লাবিত হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ সাময়িকভাবে বাঁধ দিয়ে রক্ষা করার চেষ্টা করেন। উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দীন বলেন, টেকসই বাঁধ না দিলে এসব উপকূলীয় অঞ্চল ঝুঁকির মধ্যে থাকবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন।