পাইকগাছায় মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবাদিক সম্মেলন

প্রকাশঃ ২০২০-১২-১৩ - ১৮:০০

পাইকগাছা প্রতিনিধি : পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনিতে ৯ ডিসেম্বর মূক্ত দিবসে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর অনুষ্ঠানে আয়োজকরা যথাযথ মূল্যায়ন না করাই প্রতিবাদে রবিবার পাইকগাছা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স সাংবাদিক সম্মেলন করেছে মুক্তিযোদ্ধারা । মুক্তিযোদ্ধা সংসদ পাইকগাছা উপজেলা কমান্ড ও ১০ টি ইউনিয়নে কমান্ড ও ডেপুটি কমান্ডাররা এ সংবাদ সম্মেলন করেছে। উপজেলার সাবেক কমান্ডার শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু সংবাদ সম্মেলনে তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ৭১ সালে কপিলমুনি রাজাকার ক্যাম্প দখল করে লেপ্টনেন্ট গাজী রহমত উল্লাহ , শেখ কামরুজ্জামান টুকু ও ইউনুস আলীর নেতৃত্বে অন্যান্য কমান্ডার স,ম,বাবর আলী,মোড়ল আঃ সালাম, ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান,স,ম, আলাউদ্দীন, শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু,ওমর ফারুক,বিনয় রায়, আবু জাফর, আবুল কালাম আজাদ ময়নুল সহ আরো অনেকে।
৯ ডিসেম্বর কপিলমুনিতে মুক্ত দিবস উপলক্ষে জনসভা সহ বিভিন্ন কর্মসুচী আয়োজন করে প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজক কমিটি। প্রধান অতিথি ছিলেন মাননীয় মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়। অনুষ্ঠানে মুকিতযোদ্ধাদের নিমন্ত্রণ করা হয় বিশেষ অতিথি হিসেবে। তারা যথা সময়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলেও তাদের কোন কর্মসুচীতে অংশ নিতে দেয়া হয়নি। সভা মঞ্চেও তাদের দেয়া হয়নি কোন আসন। অবশেষে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানরা সভা বয়কট করেন।
বিশ্ব মহামারী করোনার কারনে সরকার জনসমাগম নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সেখানে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অনাহুত জনসমাগম সত্যি নিন্দনীয়।

এমন কি জনসভায় এক যুবক বিভিন্ন অনাহুত বক্তৃতা আমাদের বিষ্মিত করেছে। তাই আমরা মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রীর অনুষ্ঠান বয়কট করতে বাধ্য হই। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন মঞ্চে যুব নেতা আঃ রাজ্জাক রাজু বক্তৃতায় বলেন বিপথগামী সেনা সদস্যরা ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু সহ স্বপরিবারে হত্যা করে দেশ কে কলঙ্গমুক্ত করেছে এর তিব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও বিচার দাবি জানাচ্ছি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আঃ রাজ্জাক মলঙ্গী সহ ১০ টি ইউনিয়নের কমান্ডার ডেপুটি কমান্ডারগন।