পাইকগাছায় যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে প্রতারনার অভিযোগ

প্রকাশঃ ২০২০-১০-৩১ - ১৬:২৫

মোঃ আসাদুল ইসলাম, পাইকগাছা : পাইকগাছায় চাকরি দেয়ার নামে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে তিন লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভূক্তভোগি দীর্ঘদিন টাকা আদায় করতে না পেরে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।

জানাগেছে, কয়রা উপজেলার জোড়শিং গ্রামের দুলাল চন্দ্র মন্ডলের পুত্র চপল মন্ডল কে মোংলা পোর্টে চাকরী দেয়ার নাম করে পাইকগাছা উপজেলা যুবলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য দেলুটি ইউপির হরিনখোলা গ্রামের অমুল্য মন্ডলের পুত্র অঞ্জন মন্ডল ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে নগদ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে ১৭ সালের জানুয়ারী ১০ তারিখে চাকরীর নিয়োগ পত্র দিবে বলে জৈনিক জীবন নামে একজনের সাথে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়। তখন আমি অঞ্জন কে বলি জীবনকেতো চিনিনা আপনি আমাকে সাথে নিয়ে চলেন। তখন অঞ্জন বলে জীবন আমার লোক। ঢাকার সব কিছু জীবন করবে বলে আমাকে আসস্থ করে। একটা খামে যোগদানপত্র দেয়ার আগে ১৮ জানুয়ারী ২০১৭ তারিখে কয়রার সোনালী ব্যাংক শাখা হতে মোংলা পোর্ট সোনালী ব্যাংক শাখায় ১০০০২১০০৭ নং একাউন্টে ২লাখ ৭০ হাজার ট্যানেফার করে নেয়। ঐসময় মোংলা পোর্টে চাকরি না দিয়ে Ledforce Security Service LTD. নামে একটা নিয়োগ পত্র ধরিয়ে দেয়। এই নিয়োগ পত্রে ৯ফেব্রুয়ারি ১৭ তারিখে যোগদানের তারিখ উল্লেখ থাকে। নির্ধারিত তারিখে ঢাকা-১২২৯ বাড়ি নং ১৫(৪/এ),রোড নং ০৬ নিকুঞ্জ ২,খিলখেত ঠিকানায় উপস্থিত হলে যোগদান না করিয়ে ১৫ মার্চ ১৭ তারিখে নতুন আরেকটি যোগদান পত্র ধরিয়ে দিয়ে নির্ধারিত তারিখে যোগাযোগ করতে বলে। নির্ধারিত তারিখে যোগদান করতে যেয়ে অফিস বন্ধ পায়। তাতক্ষনিক যুবলীগ নেতা অঞ্জনের সাথে যোগাযোগ করলে বাড়িতে ফিরে আসতে বলে। অঞ্জনের নিকট পাওনা টাকা বার বার চাইলে খুলনায় প্রায় দেড় মাস হোটেলে রেখে আজ না কাল বলে ঘুরায়তে থাকে।
ভূক্তভোগি চপলমন্ডল বলেন, যুবলীগ নেতা অঞ্জন মন্ডলের কারণে আজ আমি নিঃস হয়েগেছি। ঋনের টাকার চাপে পালিয়ে ব্যাড়াচ্ছি। আমি আমার এক পরিচিত ভাইয়ের মাধ্যমে পাইকগাছা উপজেলা যুবলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক শেখ আনিসুর রহমান মুক্তকে মৌখিকভাবে অঞ্জনের বিরোদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু তিনি বিষটি দেখবে বল্লেও আজো কোন সুরহা পাইনি।

এ ব্যাপারে মুঠোফোনে পাইকগাছা উপজেলা যুবলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক শেখ আনিসুর রহমান মুক্তর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বিষটি জানার পরে অঞ্জনে ফোনে বল্লে ৩০ হাজার টাকা নেয়ার কথা শিকার করে বলে আমি সেটা দিয়েদেব।

মুঠোফোনে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা অঞ্জন মন্ডল বলেন, আমার সাথে চপল মন্ডলের ৩০ হাজার টাকার লেনদেন আছে। বাকি ২ লাখ ৭০হাজার টাকার বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।