ক্রীড়া ডেস্কঃ শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের মধ্যে যারা লাহোর সফর প্রত্যাখ্যান করবেন তাদেরকে অন্য দু’টি টি-টোয়েন্টিতেও বিবেচনা করা হবে না! অর্থাৎ, পাকিস্তানে যেতে রাজি না হলে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজে বাদের খাতায় থাকতে হবে।
শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি) এখন যত বেশি সংখ্যক খেলোয়াড়কে বোঝানোর চেষ্টা করছে যে, পাকিস্তানে ২৪ ঘণ্টার ট্যুর অনিরাপদ হবে না। নির্বাচকরা ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন শুধুমাত্র যারা সেখানে ভ্রমণ করতে ইচ্ছুক তারাই আবুধাবিতে প্রথম দু’টি টি-টোয়েন্টিতে থাকবেন। পাকিস্তানে যেতে ‘রাজি’ শ্রীলঙ্কা
প্রধান নির্বাচক গ্রাহাম লাবরয় বলেন, ‘বোঝা যাচ্ছে যে সিরিজটিতে আমরা একটি স্কোয়াডই পছন্দ করবো, খেলোয়াড়দের প্রতি সুবিচার করার জন্য যারা লাহোর ম্যাচের জন্য হাত তুলেছে।’ যাই হোক, নির্বাচকদের তুলনায় এই সিদ্ধান্তটা এসেছে বোর্ড ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে।
বোর্ড যদি টি-২০ সিরিজের জন্য একটি স্কোয়াড ঘোষণার সিদ্ধান্তে অবিচল থাকে তবে তিন ম্যাচের জন্য নতুন অধিনায়ক পাবে শ্রীলঙ্কা। উপুল থারাঙ্গা ইতোমধ্যেই লাহোরে যাওয়ার ব্যাপারে অনিচ্ছার কথা জানিয়ে দিয়েছেন। এই সিরিজটি হয়তো সাইডবেঞ্চে থাকা খেলোয়াড়দের নিজেদের প্রমাণের বড় একটি সুযোগ হয়ে উঠতে পারে। বলা হচ্ছে, দীর্ঘ আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ক্রিকেটারদের চেয়ে অপেক্ষাকৃত কম সুযোগ পাওয়ারাই লাহোরে যেতে বেশি আগ্রহী।
এ ব্যাপারে গ্রাহাম লাবরয় বলেন, ‘এ মুহূর্তে প্রত্যেক খেলোয়াড়ের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলছে বোর্ড। তাই নির্বাচকরা ঠিক জানেন না কারা স্কোয়াডে থাকছেন। কিন্তু শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সকালের মধ্যে তা আমাদের জানতে হবে। এসএলসির নির্বাহী কমিটির দু’জন সদস্য খেলোয়াড়দের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।’
আগামী ২৯ অক্টোবরের লাহোর ম্যাচটি হবে ২০০৯ সালে লাহোরেই সন্ত্রাসী হামলার শিকার হওয়ার পর পাকিস্তানে শ্রীলঙ্কার প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। তার আগে আবুধাবিতে ২৬ ও ২৭ অক্টোবর সিরিজের প্রথম দু’টি টি-২০ অনুষ্ঠিত হবে।