পানি সরবরাহের পথ নির্বিঘ্ন করার দাবি কয়রার কৃষকদের

প্রকাশঃ ২০২৩-০২-০৫ - ১২:৪০

কয়রা প্রতিনিধি : কয়রার মহারাজপুর মদিনাবাদ ও বজবুজিয়া বিলের পানি নিষ্কাশনের সরকারি খাল ভরাট করে কাঁচা পাকা স্থাপনা নির্মাণ সহ বাধ দিয়ে মাছ চাষ করায় পানি সরবরাহের পথগুলি বন্ধ হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে জলবদ্ধতার কবলে পড়ে আমন ফসল নষ্টসহ বর্ষা মৌসুমে মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থাসহ নানান অসুবিধার সৃষ্টি হয়ে থাকে।

কয়রা মহারাজপুর ও মদিনাবাদ এলাকার স্থানীয় কৃষকরা জানান, ব্রিটিশ আমল থেকে বর্ষা মৌসুমে মদিনাবাদ বিলের পানি রান্না খালি খাল হয়ে বড় দেউলিয়া খাল দিয়ে শাকবাড়িয়া নদীতে নিষ্কাশন হতো কিন্তু গত কয়েক বছর রান্না খালি খালে বাঁধ সহ পানি সরবরাহের খাল ভরাট করে একাধিক কাচা পাকা স্থাপনা নির্মাণ করায় পানি সরবরাহের পথ বন্ধ হয়ে গেছে।

 বৃহত্তর মহারাজপুর বিলে ২৫ বিঘা জমি রয়েছে কৃষক শামীম সানার তার অভিযোগ স্থানীয় রশিদ গাজী, আতিয়ার রহমান, এনসার আলী সহ কতিপয় ব্যক্তি পানি সরবরাহের নালাগুলো সরকারের কাছ থেকে বন্দোবস্ত নিয়ে খন্ড খন্ড বাধ দিয়ে মাছ চাষ করায় প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে জলবদ্ধতার কবলে পড়ে ফসল নষ্ট হচ্ছে। একই অভিযোগ করেন মদিনাবাদ গ্রামের কৃষক মজিবুর রহমান, মনিরুল সানা সহ অনেকেই। কৃষক মুজিবুর রহমান বলেন স্থানীয় এনছার আলী সানা মদিনাবাদ বিলের পানি সরবরাহের রান্নাখালি খালটি বন্দোবস্ত নিয়ে সরকারি শর্ত ভঙ্গ করে স্ট্যাম্পের মাধ্যমে একাধিক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করায় ক্রেতারা ইচ্ছামত পানি সরবরাহের সরকারি খাল ভরাট করে কাঁচা পাকা বসতবাড়ি নির্মাণ করেছে ফলে বর্ষা মৌসুমী ধান চাষ সহ মানুষের যাতায়াতের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। এ ব্যাপারে কৃষক মুজিবুর রহমান আদালতে মামলা দায়ের করেছে। দুই নম্বর কয়রা গ্রামের কৃষক আব্দুস সালাম বলেন দুই নম্বর কয়রা ও বজবুজিয়া বিলের পানি সরবরাহ হত বজ বুজিয়া খাল হয়ে কয়রাখাল দিয়ে কপোতক্ষ নদীতে যেত, কিন্তু স্থানীয় আব্দুল গফুর শেখ ও তার স্ত্রীর নামে বন্দোবস্ত নিয়ে দলিলের শর্ত ভঙ্গ করে একাধিক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করায় তারাও খন্ড খন্ড বাধ দিয়ে মাছ চাষসহ পানি সরবরাহের খাল ভরাট করে কাঁচা পাকা বাড়ি নির্মাণ করায় বর্ষা মৌসুমী জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে ফসলহানিসহ মানুষের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়ে থাকে। বর্ষা মৌসুমের আগে এ সকল অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা নির্বিঘ্ন করার দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকগণ। কয়রা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম সাইফুল্লাহ বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত নই, কোন কৃষক যদি অভিযোগ করে তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।