পাবনায় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

প্রকাশঃ ২০১৮-০৪-০৮ - ২২:৩২

ফারুক হোসেন,পাবনাঃ পাবনায় এক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বাড়িতে হামলা,ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আ’লীগ নেতার ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বিকেলে বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানাধীন জাতসাকীনি ইউনিয়নের নান্দিয়ারা গ্রামে। এ ব্যাপারে রোববার বিকেলে কমান্ডার মতিউর রহমান বাদী হয়ে আমিনপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
আমিনপুর থানা দেয়া লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, এলাকায় ছোট স্কুল পড়–য়া বাচ্চাদের খেলাধুলাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট দ্বন্দের মিমাংসা করতে স্থানীয় সংসদ আজিজুর রহমান আরজু এমপি দায়িত্ব নেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার নগরবাড়ী বনিক সমিতির অফিসে উভয় পক্ষকে নিয়ে এক সালিশী বৈঠক ডাকেন। এদের এক পক্ষে থাকেন মুক্তিযোদ্ধ্া কমান্ডার মতিউর রহমান অপর পক্ষে থাকেন জাতসাকিনী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি রওশন আলম। সালীশে অপরাধীদের কান ধরে ক্ষমা চাওয়া ও ভবিষ্যতে এরকম না করার অঙ্গীকার করা হয়। কমান্ডার মতিউর রহমান তার অভিযোগে বলেন, নগরবাড়ী বনিক সমিতি অফিসে সালিশী বৈঠক শেষে বাড়ি ফেরার পথে নগরবাড়ী মহ্সাড়কের পাশেই অবস্থিত তার বসত বাড়িতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জাতসাকীনি ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি রওশন আলীর বড় ছেলে আল-আমিনের নেতৃত্বে তার দলবল নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালায় । এ সময় বাড়িতে মহিলারা ব্যাতিত কেহ না থাকায় তারা হাসুয়া,রাম দা দিয়ে আমার ঘরের টিনের বেড়া কুপিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং কমান্ডার মতিউর রহমানকে হত্যার হুমকি দিয়ে যায়। এমনকি ঘরে থাকা নগদ অর্থ ও তার মেয়ের গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। অপরদিকে ঐ একই সময়ে পার্শ্ববর্তী সবারতের বাড়িতেও হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেন। এ সময় ঘরে থাকা আসবাবপত্র ভাংচুরসহ সবারতের স্ত্রী মাহেলা খাতুন এবং পুত্রবধু লাভলী খাতুনকে মারপিট করে আলমারী থেকে স্বর্ণের অলংকার ও নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। খবর পেয়ে আমিনপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তারা পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে রোববার কমান্ডার মতিউর রহমান বাদী হয়ে রওশনের ছেলে আল আমিনকে প্রধান আসামী করে ২২জনের বিরুদ্ধে আমিন পুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে জাতসাকিনী ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি ফজলুল হক সাংবাদিকদের,ছোট বাচ্চাদের বিষয় নিয়ে এ ধরনের কর্মকান্ড কোনভাবেই সমর্থন করা যায় না। বিষয়টি নিয়ে এমপি সাহেব মিমাংসা করার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু তারপরেও কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটল আমি জানি না।
এ ব্যাপারে আমিনপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।