প্রতারনার নায়ক লিটন জড়িয়ে পড়েছে মাদক ব্যবসায়

প্রকাশঃ ২০১৮-০২-০১ - ২০:৪৫

যশোর অফিস : আলমগীর হোসেন ওরফে লিটন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে  যশোর, খুলনা, মাগুরা, সৌদি আরব, মালেয়াশিয়ায় প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে নানা অপরাধ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।  মহিলা দিয়ে ব্যবসা, মাদক ব্যবসা, চোরাই গাড়ির পার্টস ক্রয় বিক্রয়, ডিবি পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজীসহ নানা কাজ করে আসছে। আলমগীর হোসেন ওরফে লিটন মাগুরার শালিখা থানার দেয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত. হাশেম মোল্যার ছেলে।

আলমগীর হোসেন ওরফে লিটন  উঠতি বয়সে ‘তুতা’ বাহিনীর সাথে জড়িয়ে পড়ে। এসময় সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িয়ে পড়লে ১৯৯৯ সালে পরিবার থেকে সৌদি আরবে পাঠিয়ে দেয়। ৫ বছর থাকার পর সে দেশে ফেরে। পরবর্তীতে ২০০৭ সালে মালেয়াশিয়ায় যায়। অবৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মালেয়াশিয়া সরকার ২০১৩ সালে মামলা দায়ের করে। সাজাভোগের পর ২০১৪ সালে ডিসেম্বর মাসে দেশে আসে। এসময় মালেয়াশিয়া সরকার ৫ বছর তাকে ওই দেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। যার পাসপোর্ট নং এফ ০০৬০৬৮৪। ২০১৪ সালের ডিসেম্বর দেশে ফেরার পর আলমগীর যশোর শহরের বসবাস শুরু করে। এসময় সে ইজিবাইক, চোরাই গাড়ির পার্টস ক্রয় বিক্রয়, মহিলাদের নিয়ে অবৈধ দেহ ব্যবসা, গাঁজা, ইয়াবা, ফেনসিডিল, মদসহ মাদকদ্রব্য সেবন ও ব্যবসা করে আসছে।

গত ১২ আগস্ট কেয়া নামে স্বামী পরিত্যক্ত মহিলাকে নিয়ে সে যশোর সদর উপজেলার ঝুমঝুমপুর মোকলেচুর রহমানের বাড়িতে স্বামী স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বসবাস করছিল বিষয়টি স্থানীয় লোকজনকে জানালে তারা পুলিশকে জানায়। পুলিশ ওই বাড়িতে অভিযান চালালে  তারা পালিয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আলমগীর হোসেন ওরফে লিটনের চাচাতো ভাইবউ শারমিনের সাথে একই গ্রামের মৃত. গোলাম নবীর ছেলে আলমের হাত ধরে পালিয়ে যায় খুলনায়। সেখানে বিয়ে করে শরীফ খোকন নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করা শুরু করে। আলমগীর হোসেন ওরফে লিটন ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাদেরকে তুলে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে আলমের বিরুদ্ধে সে শারমিনকে দিয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা করে।

এভাবে আলমগীর হোসেন ওরফে লিটন  বিভিন্ন লোকজনের সাথে প্রতারণা করে আসছে। স্থানীয়রা  আলমগীর ওরফে লিটনকে আটকপুর্বক দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।