প্রথমধাপে খুলনা আসছে ৬ লাখ ডোজ করোনা ভ্যাকসিন

প্রকাশঃ ২০২১-০১-২৭ - ২০:৪৭

দেশ প্রতিবেদক : করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে প্রথম ধাপে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার জন্য পাঁচ লাখ ৮৮ হাজার ডোজ করোনা ভ্যাকসিন বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রথম ধাপে ভারত থেকে আনা টিকায় এ অঞ্চলে বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ অঞ্চালের ১০ জেলায় দেয়া শুরু হবে এ ভ্যাকসিন। ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার করণীয় সম্পর্কে দুই দিন ব্যাপি তিন দেশের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের ভার্চুয়াল কনফারেন্স নগরীর হোটেল সিটি ইন এ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। টিকা প্রত্যাশীদের রেজিস্ট্রেশন ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে টিকার ব্যবহার শুরু হয়েছে। সেখানে আশানুরূপ ফল পাওয়া যাচ্ছে। বুধবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভার্চুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে টিকার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এর মাধ্যমে দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে করোনা টিকাদান কার্যক্রম শুরু হলো। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে কুর্মিটোলা হাসপাতালে ২৬ জনকে টিকা দেয়া হয়। ফ্রন্টলাইনার সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, বীরঙ্গনা, আইন-শৃংখলা বাহিনী, সামরিক, আধা সমারিক, প্রতিরক্ষা বাহিনী, রাষ্ট্র পরিচালানায় অংশগ্রহনকারী কর্মকর্তা, গণমাধ্যম কর্মী, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভার সম্মূখসারীর কর্মকর্তা কর্মচারী, ধর্মীয় প্রতিনিধি, বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানি, ফায়ার সার্ভিস, রেলওয়ে, বিমানবন্দর কর্মকর্তা, নৌ-বন্দর কর্মকর্তা, ব্যাংক কর্মকর্তা, জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা অগ্রধিকার পাচ্ছেন। টিকা দান কার্যক্রম সফল করার জন্য খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে সভাপতি ও একই সংস্থার চীফ মেডিকেল অফিসারকে সদস্য সচিব করে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রক) ডা. ফেরদাউসী জানান, করোনার টিকাদান পরবর্তী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় করোনীয় সম্পর্কে আজ থেকে দু’দিন ব্যাপী বাংলাদেশ, নেপাল ও শ্রীলংকার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের ভার্চুয়াল কনফারেন্স শুরু হয়েছে। টিকাদান কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণও হচ্ছে। তিনি জানান, খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় ৪৯ কার্টুনে পাঁচ লাখ ৮৮ হাজার ডোজ বরাদ্দ করা হয়েছে। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ অঞ্চালে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। উল্লেখ, গত বছরের ১০ মার্চ থেকে আজ বুধবার পর্যন্ত খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, মাগুরা, মেহেরপুর ও নড়াইল জেলায় ২৫ হাজার ৪৮৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়। সুস্থ্য হয়েছেন ২৪ হাজার ৪০১ জন। এ পর্যন্ত মৃত্যু ৪শ’ ৫১ জন।