গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলায় প্রেমে সাড়া না পেয়ে মেয়ের চলার পথরোধ করে শ্লীলতাহানির প্রতিরোধ ও প্রতিবাদ করায় ভুক্তভোগী মেয়ে বাড়ীতে পরিবারের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী আতিকুর রহমান নামে এক বখাটে যুবকের পরিবারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করার পর ছেলের পরিবারের পাল্টা অভিযোগ হওয়ায় বিপাকে পরেছে ভূক্তভোগি মেয়ের পরিবার।
অভিযোগ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, পলাশবাড়ী উপজেলার পবনাপুর ইউনিয়নের বালাবামুনিয়া গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে আতিকুর রহমান দীর্ঘদিন যাবত প্রতিবেশী আহাদুল শেখের মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। বিষয়টি একাধিকবার ছেলের বাবাকে জানানো হলেও আমলে নেইনি তার পরিবার। এরপর দিনের পর দিন না ভাবে মেয়েটিকে নানা ভাবে জ্বালাতোন করতো বখাটে আতিকুর রহমান। গত ২৬ মে মঙ্গলবার দুপুরে বখাটে আতিকুর ও তার সহযোগীরা মেয়ের রাস্তা রোধ করে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে আশপাশে লোকজন আসলে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তরা পালিয়ে গেলেও আতিকুর রহমান কৌশলে ধরে নিয়ে বাড়ীতে নিয়ে আসে মেয়ের পরিবার। তারপর স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় আতিকুর পরিবারের হাতে আতিকুর তুলে দেওয়ায় সময় আতিকুর রহমানসহ তার পরিবার ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়ে ও তার বাড়ীতে হামলা করে কয়েকজনকে আহত করে বাড়ীঘর ভাংচুর করে। পরে মেয়ের বাবা এ ঘটনায় হরিনাবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ করে। সেখানে অভিযোগের কোন বিচারের সম্ভবনা না থানায় আবার মেয়েটি বাবা আহাদুল শেখ পলাশবাড়ী থানায় অভিযোগ করে।
মেয়েটির বাবা আহাদুল শেখ জানান,বখাটের অপকর্ম হতে মেয়েকে রক্ষা করতে গিয়ে আতিকুর ও তার পরিবারের লোকজন আমার বাড়ীতে হামলা করে। আমার স্ত্রীসহ কয়েকজনকে মারপিট করে জখম করে এবং ঘর ভাঙচুর করে চলে যায়। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললে বিভিন্ন ভাবে তাকে হুমকি দেয়।এবং পাল্টা আমিসহ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। তিনি আরো বলেন, পরিবারের উপর হামলার অভিযোগের তদন্ত না হলেও ছেলের পরিবার থেকে দেওয়া অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বখাটে আতিকুর রহমান ও তার পরিবার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন আমার ছেলে ৫ ম শ্রেনীতে পরে তাকে তুলে নিয়ে গেয়ে মারধর করায় আমরা থানায় অভিযোগ করি। এদিকে বখাটে যুবক সে কোন লেখাপড়া করে না। সে কৃষি শ্রমিক হিসাবে কাজ করে বলে জানায় স্থানীয়রা। হামলার ঘটনাটি মেয়ের বাবা থানায় আগে অভিযোগ করলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। এদিকে এলাকায় কথিত কিছু নেতার কারসাজিতে ভিকটিমকে অর্থের বিনিময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে চাপ দেয়া হচ্ছে ও তাদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগের তদন্ত আগে শুরু হয়েছে বলে জানান ভিকটিমের পরিবার।
এ ঘটনায় হরিনাবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আইসি রাকিব হোসেন বলেন, ঘটনায় ছেলে মেয়ে তারা একে অপরের প্রতিবেশী ছেলের পরিবার থেকে পাওয়া অভিযোগের তদন্ত চলছে মেয়ের পরিবারের থানায় অভিযোগ করলে অভিযোগের কপি হাতে পেলে তদন্ত শুরু হবে।
থানা অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান জানান,এঘটনায় ছেলের পরিবার হতে আগে অভিযোগ করায় আগে তদন্ত শুরু হয়েছে। মেয়ের পরিবার অভিযোগের তদন্ত আগামীকাল হতে শুরু হবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।