বাগেরহাট : বাগেরহাটে অব্যাহত গরু চুরির ঘটনায় ঘুম হারাম হয়েছে গরু মালিকদের। এ ঘটনায় অর্থাভাবে থানায় মামলা দিতে না পেরে শুধুমাত্র জিডি করেছেন তারা। গরু মালিকদের অভিযোগ কয়েকদিন পর পর গোয়াল থেকে গরু চুরি হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু চোর চক্রের হোতাদের আটক করতে পারছেনা প্রশাসন। যে কারণে আমরা নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারছিনা। এদিক কচুয়া উপজেলার গজালিয়া এলাকার একটি বসতবাড়ীর গোয়ালঘর থেকে দুটি গরু চুরি হয়েছে। অজ্ঞাত চোরেরা মঙ্গলবার দিনগত গভীর রাতে গজালিয়া সোনকান্দর গ্রামের কাওছার আলী’র বাড়ী থেকে একটি গাভী ও একটি ষাড় নিয়ে যায়। গরু মালিক কাওছার আলী জানান, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর গোয়ালঘরে গরু সেবা যত্ন করে এসে রাতে ঘুমিয়ে পড়েন। ভোরবেলা উঠে দেখেন গোয়ালে গরু নাই। অনেক খোঁজাখুঁিজ করে গরু দুটি না পেয়ে তারা নিশ্চিত হন গরু চুরি হয়েছে। পরে কচুয়া থানায় অভিযোগ দিতে গেলে থানা পুলিশ এ বিষয়ে একটি জিডি রেকর্ড করেছে। সহজ সরল কাওছার আলী পরিবার জানান, এমনিতেই গরু চুরি হয়েছে। এরপর মামলা করতে টাকা পয়সা ব্যায় হয়। তাই পুলিশে’র পরামর্শে জিডিই করেছি। কচুয়া থানার ওসি মোঃ কবিরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, গরু মালিক প্রাথমিকভাবে একটি জিডি করেছেন। যদি গরুর সন্ধান পান এবং তা চুরি হয়েছে নিশ্চিত হন তাহলে মামলা রেকর্ড করা হবে। এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে কচুয়া উপজেলা বাধাল যশোরদী গ্রামে গোয়ালঘর থেকে গরু চুরি করতে গিয়ে এলাকাবাসী হাতে সোহেল শিকদার (৩৫) নামের একজন বহিরাগত চোর আটক হয়। এসময় গরু বহন করা একপি পিকআপ জব্দ করা হয়। তবে পিক-আপ চালক পালিয়ে যায়। জানা গেছে ওই পিক-আপ চালকে’র বাড়ী বাগেরহাট সদরে। তাকে আটক করতে পারলে এ অঞ্চলের গরুচোর সিন্ডিকেট ধরা পড়বে বলে ক্ষতি গ্রস্থরা মনে করেন। তবে এ বিষয়ে বাগেরহাট পুলিশে’র একটু আন্তরিক হতে হবে দায়িত্ব কর্তব্য পালনে। উল্লেখ্য, গত ১৩ আগষ্ট রাতে বাগেরহাট সদর উপজেলার গোটাপাড়া গ্রামের বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক হাওলাদার শফিউর রহমানের বাড়ীর গোয়ালঘর থেকে চোরেরা দুটি গরু নিয়ে পিক-আপ যোগে পালিয়ে যায়।