বাগেরহাট : বাগেরহাটে চাকুরী দেয়ার নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে শহরের শালতলা এলাকার জাহানাবাদ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শুকলা রানী মন্ডলের বিরুদ্ধে আদালতে সমন জারি করেছে। ভূক্তভোগি বিষ্ণুপদ পালের দায়ের করা মামলায় বাগেরহাট অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক এ সমন জারি করেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী মোঃ সিরাজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশে বাগেরহাট ডিবি পুলিশের ওসি মোঃ ইউনুস আলী অর্থ আত্মসাথের সতত্যা পেয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার পর আদালত তার বিরুদ্ধে সমন জারি করে। মামলার বিবরনী ও ভূক্তভোগি জানান, বাগেরহাট জাহানাবাদ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে নৈশ প্রহরী পদে চাকরী দেওয়ার কথা বলে গত ২০১৪ সালের ৪ এপ্রিল শহরের হাড়িখালী এলাকার বিজয় কুষ্ণ পালের ছেলে বিষ্ণু পদ পালকে অস্থায়ী ভাবে নিয়োগ দেয়া হয়। এর কিছুদিন পর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শুকলা রানী মন্ডল চাকুরী স্থায়ী করনের কথা বলে বিষ্ণু পদ পালের কাছে দুই লক্ষ টাকা দাবী করেন। এক পর্যায়ে চাকুরী পাবার আশায় দরিদ্র বিষ্ণু পদ পাল শেষ সম্বল জমি বিক্রয় করে প্রধান শিক্ষিকা শুকলা রানী মন্ডলের কথা মত তার স্বামী বিবেকানন্দ সমাদ্দারের হাতে দুই লক্ষ টাকা তুলে দেন। পরে নিয়োগ পরীক্ষার সময় প্রশ্নপত্র ফাঁস করে এনে দেবার কথা বলে বিষ্ণু পদ পালের নিকট থেকে আরো দশ হাজার টাকা দাবী করেন প্রধান শিক্ষিকা শুকলা। এসময় বাধ্য হয়ে বিষ্ণু পদ দশ হাজার দিয়ে ফাঁসকৃত ওই প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে। কিন্তু পরীক্ষা শেষে বিদ্যালয়ে নৈশ্য প্রহরী পদে অন্য এক ব্যাক্তিকে নিয়োগ করা হয়। এসময় সর্বস্ব হারিয়ে অসহায় দরিদ্র বিষ্ণু প্রধান শিক্ষিকা শুকলা রানী ও তার স্বামী বিবেকান্দের কাছে ছুটে যায় এবং তার দেয়া দুই লক্ষা টাকা ফেরত চায়। এসময় শুকলা রানী মন্ডলের স্বামী বিবেকান্দ বেশি বুঝলে জেলের ঘানি টানতে হবে বলে বিষ্ণু পালকে হুমকী দেয়। পরবর্তিতে বিষ্ণুকে সদর উপজেলার ডেমা কাশিমপুর স্কুলে চাকুরী দেবার কথা বলে দীর্ঘদিন ধরে কালখেপন করতে থাকে। পরে সেখানেও চকুরী দিতে না পেরে শুকলা রানী টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন। বিষ্ণু পদ পাল সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার পিতার রেখে যাওয়া শেষ সম্বল জমি বিক্রয় করে নৈশ প্রহরি পদে চাকুরীর জন্য শুকলা ম্যাডামকে টাকা দিয়েছি। সব হারিয়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে আমি এখন মানবেতর জীবন-যাপন করছি। আমি আমার টাকা ফেরতসহ অর্থ আত্মর্সাথকারী শুকলা রানী ও তার স্বামীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানাই। জাহানাবাদ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শুকলা রানী মন্ডল বলেন, বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার সালিশ-বৈঠক হয়েছে। তাকে আমি ৩০ হাজার টাকা মূল্যের একটি কম্পিউটার পিসি দিয়েছি।