বাঘারপাড়ায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১০ জন আহত

প্রকাশঃ ২০১৮-০১-২৪ - ১১:০৬

যশোর অফিস : বাঘারপাড়ার প্রেমচারা গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০জন আহত হয়েছে। এসময় ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে একজনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে বাকীদের বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন, মঙ্গলবার সকাল দশটার দিকে বাঘারপাড়ার বন্দবিলা ইউনিয়নের প্রেমচারা গ্রামের জাতীয়পার্টির  বাঘারপাড়া উপজেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট জহুরুল হক জহিরের ভাই রোস্তম মোল্যা সমর্থকদের সঙ্গে একই গ্রামের ইউপি সদস্য আলমের লোকজনের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে রোস্তম মোল্যার পক্ষের দুইজন ও আলম মেম্বারের পক্ষের ছয়জন আহত হন। রোস্তম মোল্যার ভাইপো সুমন হোসেনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

গ্রামবাসী বলছেন, মাসখানেক আগে আলম মেম্বারের ভাই মোস্তাকের শ্যালোমেশিন নিয়ে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর জের ধরে মঙ্গলবার আলম মেম্বারের লোকজন রোস্তম মোল্যার ভাইপো ফজর মোল্যার ছেলে সুমন ও তার স্ত্রীকে মারধর করে। তাদের বাড়িঘর ভাংচুরও করা হয়।

এই ঘটনায় উত্তেজিত হয়ে রোস্তম মোল্যার লোকজন মোস্তাক, আলম মেম্বার ও মতিয়ারের বাড়িতে আক্রমণ করে ভাংচুর ও লুটপাট করে। তারা তিনটি বিচালিগাদায় আগুন ধরিয়ে দেয় বলে আলম পক্ষের লোকজন জানান। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলতে থাকে।

খবর পেয়ে বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম ও খাজুরা পুলিশ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান পুলিশ নিয়ে ওই গ্রামে যান। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং লুট করা দুটি গরু ও একটি সেচ মোটর উদ্ধার করে মালিকদের হাতে তুলে দেন।

জাতীয় পার্টি বাঘারপাড়া উপজেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট জহুরুল হক জহির বলেন, ‘এমপির নির্দেশে রাজাকাররা আমাদের বাড়িঘরে হামলা করেছে।’ বাঘারপাড়া থানার ওসি মনজুরুল আলম বলেন, ‘পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। লুট করা মালামাল উদ্ধার করে মালিকদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।