বাড়ছে ভাতা, ইমাম-মোয়াজ্জিনরা পাবেন সরকারি প্রকল্পে লোনও

প্রকাশঃ ২০২৩-০৮-২১ - ২০:০১

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ইমাম সভা থেকে সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগাগোড়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিশানায় বিজেপি থেকে সিপিএম-কংগ্রেস। সংখ্যালঘু ইস্যুতে সরব মুখ্যমন্ত্রী। ইমাম সম্মেলনে দাঁড়িয়ে একইসঙ্গে ভবিষ্যত ক্রেডিট কার্ডে ইমাম মোয়াজ্জিনদের জন্য বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। একইসঙ্গে ভাতা বাড়ানোরও ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর।

সোমবার মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ‘ভবিষ্যত ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পে এবার পাঁচ লাখ টাকার লোন পাবেন ইমাম-মোয়াজ্জিনরা। ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিতে গেলে প্রথমে যে ২৫ হাজার টাকা দিতে হয়, তা দেবে রাজ্য সরকার। এরপর পাঁচ লাখ টাকা লোন নিলে তার গ্যারেন্টারও থাকবে রাজ্য সরকার। সেই লোন নিয়ে কেউ দরজির দোকান করতে পারেন, কেউ গোরু-ছাগল, পোলট্রি খুলতে পারবেন। সরকার পাশে আছে।
এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে অল ইন্ডিয়া ইমাম মোয়াজ্জেম স্যোশাল ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন ও রাজ্যের ছোট বড় ইমাম সংগঠনগুলি এক হয়ে সমাবেশেক আয়োজন করেন। সেই সমাবেশেই হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই মঞ্চ থেকেই আরও ৫০০ টাকা করে ইমাম, মোয়াজ্জিন ও পুরোহিতদের ভাতা দেওয়ার ঘোষণা। এদিনের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমার ক্ষুদ্র সামর্থ্য। সব কিছু সামলে দিতে সময় লাগবে, তার মধ্যেই আমি বলছি ইমামদের ৫০০ এবং মোয়াজ্জিনদের জন্যও ৫০০ টাকা বাড়ালাম। পুরোহিতরাও অতিরিক্ত ৫০০ টাকা ভাতা পাবেন।’ দুর্গাপুজোর আগে পুরোহিতদের ভাতা বৃদ্ধিতে খুশির হাওয়া।
উল্লেখ্য, এতদিন মাসে ২৫০০ টাকা করে ভাতা পেতেন ইমামরা। ভাতা বৃদ্ধির পর এবার তারা মাসে ৩০০০ টাকা করে পাবেন। মোয়াজ্জিনরা পেতেন হাজার টাকা। এবার সেই ভাতা বেড়ে দাঁড়াল দেড় হাজার টাকা। গত ১১ বছর ধরে ভাতা পাচ্ছেন ইমাম মোয়াজ্জিনরা। ২০১২ সাল থেকে ইমাম-মোয়াজ্জিনদের জন্য ভাতা চালু করে তৃণমূল সরকার। রাজ্য সরকারের দেওয়া ভাতা বণ্টন করে ওয়াকফ বোর্ড।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘সংখ্যালঘু স্কলারশিপে বাংলা এক নম্বর। ৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে তাতে। ৯৭ শতাংশ মুসলিমরা ওবিসি। তাই কেন্দ্র ভাতা বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা রাজ্য সরকার কিন্তু ভাতা দিয়ে যাচ্ছি। আমি নিজে মুসলিম ভাইবোনদের ওবিসি অন্তর্ভুক্ত করেছি। বিজেপির রাজ্যে কিন্তু ওরা দেয় না। মেধাশ্রী, শিক্ষাশ্রী, কন্যাশ্রী সহ রাজ্যের সরকারি প্রকল্পগুলিতে কোনও হিন্দু মুসলিম ভেদাভেদ নেই।’

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন যতবার আপনাদের উপর আঘাত নেমেছে, ‘আমরাই ইস্যুটা প্রথম ধরি ও শেষ পর্যন্ত লড়াই করি। এনআরসি-এর সময় অসমে একটা প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিলাম। ওরা ঢুকতে দেয়নি। উলটে আমার নামে এফআইআর করেছিল। আমি বলেছিলাম বেশ করেছি, এখানে আন্দোলন করেছি।’