বিএনপি-জামায়াত আ’লীগ এবং বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিলো: সিটি মেয়র

প্রকাশঃ ২০২৩-০৮-২১ - ১৫:৫১

বিজ্ঞপ্তি : খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত আওয়ামী লীগ এবং বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিলো।

আজ সোমবার সকাল ১০টায় দলীয় কার্যালয়ে ভয়াল ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং সন্ত্রাস জঙ্গীবাদের প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ-এর সমাবেশে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালায়। এই গ্রেনেড হামলার মুল পরিকল্পনাকারী খালেদা, তারেক, বাবর, নাসিরউদ্দিন পিন্টু, হুজি প্রধান মুফতি হান্নান, তাজউদ্দিনরা আইএসের যোগসাজসে পাকিস্তান থেকে আর্জেস গ্রেনেড এনেছিলো। সেদিনের ঘটনার সাথে রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখেছিলো বিধায় এ ধরনের লোমহর্ষক বর্বরোচিত ঘটনা ঘটাতে সক্ষম হয়েছিলো। এই হামলায় আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মী নিহত হয়। পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী গ্রেনেডের স্প্রিন্টার দেহে বহন করে এখনও যন্ত্রণা ভোগ করছে। এই স্প্রিন্টারের কারণেই সাবেক মেয়র হানিফ এবং আব্দুর রাজ্জাক মৃত্যুবরণ করেন। বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশ্যই ছিলো বঙ্গবন্ধুর শেষ রক্ত মুছে দিয়ে বাংলার স্বাধীনতাকামী মানুষকে পেছনের দিকে নিয়ে যাওয়া। আল্লাহর অশেষ রহমতে শেখ হাসিনাসহ দেশের সংবিধান, গণতন্ত্র রক্ষা পেয়েছিলো।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি-জামায়াত ২০০৯ সালে পিলখানার ঘটনার ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত ছিলো। তারা সব সময়ই দেশে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে মানুষকে অশান্ত করে রাখতে চায়। তারা এদেশের উন্নয়ন চায়না। তাদের সাথে এদেশের মানুষের কোন সম্পর্ক নেই। এদেশের মানুষ বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে আজ তাদের মিথ্যাচারে সাড়া দিচ্ছে না। এদেশের মানুষ আজ উন্নয়ন চায়। পেটপুরে খেতে চায়, শান্তিতে ঘুমাতে চায়। তারা কোন সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ চায়না। সে কারনেই এদেশের মানুষ শেখ হাসিনার প্রতি অবিচল আস্থা রেখে পঞ্চম বারের মত প্রধানমন্ত্রী করার অঙ্গিকার করেছে। তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, জনগণের এই ইচ্ছার বাস্তবায়ন ঘটাতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা। মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বীর মুুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাউন্সিলর আলী আকবর টিপু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কাউন্সিলর জেড মাহমুদ ডন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক বিরেন্দ্র নাথ ঘোষ, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তসলিম আহমেদ আশা, সদর থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরিনা রহমান বিউটি, মহানগর যুবলীগ সভাপতি মো. সফিকুর রহমান পলাশ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল।

এসময়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা মল্লিক আবিদ হোসেন কবীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যা. আলমগীর কবির, মো. শাহজাদা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাকসুদ আলম খাজা, শেখ মো. ফারুক হাসান হিটলু, হাফেজ মো. শামীম, মোজাম্মেল হক হাওলাদার, মাহবুবুল আলম বাবলু মোল্লা, সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, শেখ দাউদ হায়দার, আব্দুল হাই পলাশ, শেখ আবিদ উল্লাহ, মো. নুর ইসলাম, বাবুল সরদার বাদল, চ. ম. মুজিবর রহমান, এ্যাড. মো. ফারুক হোসেন, শেখ জাহিদুল হক, কাউন্সিলর শেখ হাসান ইফতেখার চালু, ইউসুফ আলী খান, শেখ এশারুল হক, মুন্সি মো. সেলিম, মো. জাকির হোসেন, এ্যাড. শামীম মোশাররফ মো. শিহাব উদ্দিন, মীর মো. লিটন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতালেব মিয়া, এ্যাড. এ কে এম শাহজাহান কচি, এম এ নাসিম, অধ্যা. এ বি এম আদেল মুকুল, এ্যাড. শামীম আহমেদ পলাশ, নাসরিন আক্তার, কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ বিকু, কাউন্সিলর কনিকা সাহা, কাউন্সিলর জিয়াউল আহসান টিটু, কাউন্সিলর রোজী ইসলাম নদী, নুর জাহান রুমি, এ্যাড. কে এম ইকবাল হোসেন, মল্লিক নওশের আলী, নাছরিন ইসলাম তন্দ্রা, হাবিবুর রহমান দুলাল, আকবর আলী মাতুব্বর, কবির পাঠান, আব্দুল ওহাব, শওকাত হোসেন, মো আজিম উদ্দিন, সঞ্জয় কর্মকার, রেখা খানম, মাকসুদা খানম পাখি, খাদিজাতুল কবির তুলি, দিপ্তী রায়, কবিতা খানম, রেওয়ানা প্রধান, রোকেয়া রহমান, সাবিহা ইসলাম আঙ্গুর, কিংকর সাহা, ইলিয়াছ হোসেন লাবু, শেখ জিহাদ, জব্বার আলী হীরা, আসাদুজ্জামান বাবু, জহির আব্বাস, সৈয়দ সালমান জামান, বায়েজীদ সিনা, জনি বসু, নিশাত ফেরদৌস অনি, সংকর কুন্ডুসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

আলোচনা সভা শেষে ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলায় নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করে হাফেজ আব্দুর রহীম ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম। এর আগে সভার শুরুতে ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরাবতা পালন করা হয়।