মাঘী পূর্ণিমার আগেই বিলকপালিয়ার টিআরএমের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশঃ ২০১৭-১২-২৭ - ২০:১৭

রবিউল ইসলাম মিটু, যশোর : মাঘীপূর্ণিমার আগে ক্রাশ প্রোগ্রামে বিল কপালিয়ায় টিআরএম চালু অথবা ভবদহ গেটের ২১ ভেন্ট ও ৯ ভেন্টের মাঝ দিয়ে সরাসরি নদী সংযোগের দাবি জানানো হয়েছে। বুধবার দুপুরে ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ১০ ডিসেম্বর পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম বীরবিক্রম, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক ও অ্যাডভোকেট মোস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপিসহ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও পাউবোর উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় আগামী ২০১৯ সালে বিল কপালিয়ায় টিআরএম বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। এতে করে টিআরএম বাস্তবায়নের বিষয়টি ঝুলে যায়। এতে করে ভবদহের পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটবে। ভবদহের ভাটিতে ৫০/৬০ কিলোমিটার নদী ভরাট হয়ে যাবে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ থেকেই জলাবদ্ধতা শুরু হবে এবং আগামী জুনের মধ্যে নদী ব্যাপক ভাবে ভরাট হয়ে অঞ্চল বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। টিআরএম করার পরিস্থিতিই হুমকির সম্মুখিন হবে। তাই তখন আর টিআরএম করার বাস্তবতাই হয়তো থাকবে না। তারা বলেন, মাঘীপূর্ণিমা অর্থাৎ ৩১ জানুয়ারির আগেই বিল কপালিয়ায় টিআরএম চালুর দাবি জানান। আর তা যদি না হয় তাহলে ২১ ভেন্ট ও ৯ ভেন্টের মাঝ দিয়ে সরাসরি নদী সংযোগ দেয়া হোক। তাতে তেমন খরচও লাগবে না। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে উঠে আসা পলিতে নদী ভরাট হবে না। সংবাদ সম্মেলনে ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক রণজিৎ বাওয়ালী লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ, ভবদহ পানি নিষ্কাশনসংগ্রাম কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী আব্দুল হামিদ, পায়রা ইউনিয়ন কমিটির আহবায়ক মাসুদ হাসান, দুর্বাডাঙ্গা ইউনিয়ন কমিটির আহবায়ক স্বদেশ সরকার, কপোতাক্ষ বাঁচাও আন্দোলন কমিটির আহবায়ক অনিল বিশ্বাস, ভৈরব বাঁচাও আন্দোলন কমিটির আহবায়ক জিল্লুর রহমান ভিটু প্রমুখ।