ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠিতে মায়াবী মরণ নেশা ইয়াবায় সয়লাব। যুব সমাজ ধ্বংশের দ্বারপ্রান্তে। বিপদগামী সন্তানদের মাদকের হাত থেকে বাঁচাতে অভিভাবকরা হতাশায়। এমনকি ঝালকাঠি জেলায় বেশ কয়েকটি পরিবার তাদের সন্তানকে নিরালয় কেন্দ্রে
(রিহ্যাব) দিতে বাধ্য হয়েছে। ঝালকাঠির বেশ কয়েকটি মাদক স্পট যুব সমাজকে ধ্বংশের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। পুলিশ প্রতিনিয়ত মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের গ্রেফতার ও মাদক নির্মূলে কাজ করলেও থেমে নেই মাদক ব্যবসা। ঝালকাঠি পুলিশ সুপার মোঃ জোবায়েদুর রহমান এর মাদক নির্মূলের কঠোর নির্দেশনা থাকায় মাদক ব্যবসায়ীরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে ঝোঁপে ঝাঁপে অলি গলিতে দেখা যাচ্ছে মাদক ব্যবসায়ী ও সেবন করীদের। সম্প্রতি পুলিশ সুপার মোঃ জোবায়েদুর রহমান বেশ কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী ও সেবন কারীদের মাদক ছেড়ে সাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন। এছাড়াও ঝালকাঠির মাদক ও অপরাধীদের আতংক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম এম মাহমুদ হাসান (পিপিএম-সেবা) এর নিয়মিত অভিযানে মাদক কিছুটা কমলেও নারী মাদক ব্যবসায়ী ও সাইনবোর্ডধারী প্রভাবশালী হোয়াইট কালার কতিপয় সিন্ডিকেট মাদকের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এ সিন্ডিকেটটি পুলিশের ধরা ছোয়ার বাহিরে থেকেই মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
ফেনসিডিল, গাঁজা, হেরোইনসহ অন্যান্য মাদককে ছাড়িয়ে মাদকসেবী যুবক ও তরুনদের নেশার তালিকায় যুক্ত হচ্ছে ক্রেজি মেডিসিন খ্যাত মরণ নেশা ইয়াবা। দেশজুড়ে কিশোর, তরুণ, যুবক – যুবতীরা পছন্দের নেশার জায়গাটি দখল করে নিয়েছে ইয়াবা। আর ইয়াবার আগ্রাসনে হুমকির মুখে তারুণ্যসহ যুবসমাজ। ইয়াবার নেশা সমাজে অপরাধও বাড়াচ্ছে। চাঁদাবাজি, ছিনতাই, খুনের ঘটনাও ঘটছে এ মরন নেশায়।
এব্যাপারে ঝালকাঠি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমএম মাহমুদ হাসান (পিপিএম-সেবা) বলেন, পুলিশ মাদক নির্মূলে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। সমাজকে মাদক মুক্ত করতে হলে পুলিশকে সকলের সহযোগীতাক করতে হবে। মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী যেই হউক না কেন পুলিশ কাউকে ছাড় দিবে না।