পলাশের হত্যাকারিকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে  সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশঃ ২০২০-০৮-৩১ - ২২:৪০
আশরাফুল ইসলাম গাইবান্ধাঃ ঢাকা পলিটেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটের কম্পিউটার বিভাগের ৬ষ্ঠ সেমিস্টারের মেধাবী ছাত্র ও পলাশবাড়ী উপজেলার বালাবামুনিয়া গ্রামের নাহিদ খন্দকার পলাশের (২২) হত্যাকারি হোসাইন তানভীর রকিকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ৩১ আগস্ট সোমবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নিহতের পিতা বাংলাদেশ সচিবালয়ের গৃহায়ন ও গণপুর্তের স্টেনো টাইপিস্ট আবু তাহের খন্দকার লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, গত ২৯ জুলাই বিকাল ৪টায় তার ঢাকার খিলগাঁও থানার দক্ষিণ বনশ্রী ডি-ব্লকের ১০১ নং বাসার ৬তলা ভবন থেকে বারবার ফোন করে পলাশকে তার ঘনিষ্ট বন্ধু রকি বাসা থেকে মটর সাইকেলে করে ডেকে নিয়ে যায়। হোসাইন তানভীর রকি পার্শ্ববর্তী রামপুরা থানার দক্ষিণ বনশ্রী (পলক হাউজ), ব্লক এইচ, রোড নং ১৪, প্লটের ৮৮/বি বাসিন্দা কাউছার আহম্মেদের পুত্র।
উল্লেখ্য, ওইদিন রকি কর্তৃক পলাশকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার ২ ঘন্টা পর কাঁচপুর হাইওয়ে থানা থেকে ফোন করে আবু তাহেরকে জানায়, তার ছেলে পলাশ সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চিটাগং রোডের কাঁচপুর থানার মদনপুরে আল বারাকা হাসপাতালের সামনে নিহত হয়েছে এবং তার লাশ থানায় রাখা হয়েছে। এরপর নিহত পলাশের পিতা-মাতা কাঁচপুর হাইওয়ে থানায় গেলে পুলিশ মোবাইল ফোনে তাদের নিহত ছেলের ছবি দেখায়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি মোজাফ্ফার হোসেন আবু তাহেরের কাছে স্বাক্ষর নিয়ে তার ছেলের লাশ তার কাছে হস্তান্তর করলে পলাশবাড়ির নিজ বাড়িতে নিয়ে এসে নিহত সন্তানের দাফন সম্পন্ন হয়। লাশ গ্রহণের সময় ওই থানার ওসি একটি এজাহার লিখে নারায়নগঞ্জের বন্দর থানার মাধ্যমে হত্যাকারি রকির নাম বাদ দিয়ে থানায় অজ্ঞাতনামা একটি জিআর মামলা করে। এ ঘটনা অবহত হয়ে নিহত পলাশের পিতা রকিকে ওই এজাহারভূক্ত মামলার সাথে হত্যাকারি হিসেবে রকিকে ১নম্বর আসামি করে চার্জশীট প্রদান করার জন্য নারায়নগঞ্জের বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জের কাছে আবেদন করলে হাইওয়ে থানার ওসির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ডিআইজি বরাবর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উল্লেখ করা হয়, হত্যাকান্ড ঘটনার সাথে জড়িত রকি সেসময় থেকে এখন পর্যন্ত পলাতক রয়েছে। শুধু তাই নয়, তাকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার ডাকা হলেও সে তাদের সাথে আজ পর্যন্ত কোন প্রকার যোগাযোগ করেনি। এতে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়ে যে, রকি তার ছেলে পলাশকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। তা না হলে কেন এই ঘটনার পরপরই রকি পলাতক থাকবে।
উল্লেখ্য, আসামিকে গ্রেফতার ও শাস্তির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মহা পুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি), র‌্যাবের মহাপরিচালক, নারায়নগঞ্জ র‌্যাব ইনচার্জ, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি, হাইওয়ের পুলিশের ডিআইজি, নারায়নগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি, নারায়নগঞ্জের বন্দর থানা, নারায়নগঞ্জ প্রেসক্লাব, ঢাকা পলিটেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মোর্শেদা বেগম, শারমিন আকতার পপি, পলি খন্দকার, মিজানুর রহমান পল্লব, খন্দকার রুহুল ফারুক, তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ।