মোংলায় করোনায় শুক্রবার তিনজনের মৃত্যু

প্রকাশঃ ২০২১-০৭-০২ - ২২:৫৫
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ মোংলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে শুক্রবার তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজন হাসপাতালে আসার পর এবং একজন হাসপাতালে আনার আগে পথে মারা যান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার অমিতাভ সরকার জানান, উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নের ব্রাক্ষ্মণমাঠ এলাকার নিমাই বিশ্বাসের (৭৫) করোনা পরীক্ষা করানোর জন্য তার পরিবারের লোকজন তাকে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। কয়েকদিন ধরে তিনি করোনা উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ হয়ে বাড়ীতে ছিলেন। শুক্রবার তার শারিরীক অবস্থার মারাত্মক অবনতি দেখে তার পরিবার হাসপাতালে আনেন। কিন্তু হাসপাতালে আনার পর করোনা পরীক্ষা করানোর আগেই সাড়ে ১০ টার দিকে তিনি মারা যান।
এছাড়া উপজেলার সোনাইলতলা ইউনিয়নের উলুবুনিয়া গ্রামের ফজল হক (৮০) কে শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আনেন তার পরিবার। করোনা পরীক্ষা করানোর আগেই তিনিও মারা যান।
অপরদিকে হাসপাতালে আনার পথে করোনা উপসর্গ নিয়ে পথেই মারা গেছেন উপজেলার বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের শেলাবুনিয়া গ্রামের কেশব রায় (৬০)। বুড়িরডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান নিখিল চন্দ্র রায় বলেন, কেশবের করোনার সকল ধরণেরই উপসর্গ ছিলো। দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
এর আগে বুধবার রাতে করোনায় উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নের কালিকাবাড়ী গ্রামের বিপ্লব (৩৮) ও মঙ্গলবার পৌর শহরের সিগনাল টাওয়ার এলাকার সোহরাব (৮৫) ও সুন্দরবন ইউনিয়নের বাঁশতলা গ্রামের মতলেব খাঁ মারা যান। গত সপ্তাহে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় আরো কয়েকজন নারী ও পুরুষের মৃত্যু হয়েছে।
শেখ রাসেল অক্সিজেন ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও করোনা রোগীদের ফ্রি সেবাদানকারী আলহাজ্ব শেখ কামরুজ্জামান জসিম বলেন, সাধারণত করোনা উপসর্গ পরিলক্ষিত হওয়ার পরও গাফিলতি করে নিজে কিংবা পরিবারের অন্যান্য লোকজন হাসপাতালমুখী হতে চান না। গোপনে বাসায় বসে হাতুড়ে চিকিৎসা করান, তাতে ভাল না হয়ে বরং অবস্থা যখন একেবারে খারাপের দিকে চলে যায় তখনই হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এ কারণে মুলত করোনা উপসর্গের লোকজন হাসপাতালে এসে আবার কেউ পথেই মারা যাচ্ছেন। এজন্য সকলকে সচেতন হতে হবে ও উপসর্গ দেখা দিলেই সাথে সাথে পরীক্ষা করাতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চলতে হবে।