মোংলায় বিকাশের ৬০ লাখ টাকা আত্মসাৎ ঘটনা ধামাচাপা দিতে কর্মচারীর নানা অপচেষ্টা

প্রকাশঃ ২০১৭-১২-১০ - ২২:৩৭

আবু হোসাইন সুমন, মোংলা : মোংলায় বিকাশের ৬০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হওয়ার ঘটনার প্রায় সাড়ে তিন বছর পর আত্মগোপন থেকে প্রকাশ্যে ফিরে এসে কর্মচারী শাহিন তার নিজ অপকর্ম ডাকতে মালিক হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে অহেতুক হয়রানীর উদ্দেশ্যে পাল্টা একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। টাকা আত্মসাৎতের ঘটনায় শাহিনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত পৃথক দুইটি মামলায় আদালতে অভিযোগ ( চার্জসীট) পত্র দিয়েছে পুলিশ ও দুদক। এছাড়া বিকাশ কর্মচারী শাহিনের মালিক হারুনের নামে দায়ের পাল্টা মামলাটি তদন্ত করছে পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন।
পুলিশ ও দুদকে দায়ের হওয়া পৃথক দুটি মামলার নথিপত্র এবং মোংলা এরিয়ার বিকাশ ডিষ্টিবিউটর মেসার্স লাক্সমি ইন্টারন্যাশনালের মালিক মোঃ হারুন অর রশিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, হারুন অর রশিদের কোম্পানীতে কর্মরত বেতনভুক্ত সুপারভাইজার মোঃ শাহিন হাওলাদার ২০১৪ইং সালের ১২ জুন বাগেরহাট ব্র্যাক ব্যাংক থেকে ৬০ লাখ টাকা তুলে আত্মসাৎতের উদ্দেশ্যে টাকাসহ উধাও হয়। এ ঘটনায় তার পরের দিন ১৩ জুন শাহিনকে আসামী করে বাগেরহাট মডেল থানায় মামলা করেন হারুন। এ ঘটনায় দুদকও আরো একটি মামলা গ্রহণ করে। মামলা দুইটি তদন্ত করে পুলিশ ও দুদক আদালতে আলাদা অভিযোগ পত্র দাখিল করে। ঘটনার প্রায় সাড়ে তিন বছর পর বিকাশ কর্মচারী শাহিন চলতি বছরের ২৬ আগষ্ট বাগেরহাট আদালতে আত্মসমর্পন করে। বিকাশ ডিষ্টিবিউটর মালিক মোঃ হারুন অর রশিদ বলেন, চার্জসিট হওয়া মামলা দুইটি থেকে বাচার জন্য তার কর্মচারী শাহিন আদালতে আত্মসমার্পনের আগের দিন অর্থাৎ ২৫ আগষ্ট আদালতে একটি মিথ্যা পাল্টা মামলা করে। তিনি আরো বলেন, টাকা নিয়ে উধাও হওয়ার পর শাহিন তার পাসপোর্ট (পাসপোর্ট নং এজি-৮৬১৭৩৫৬) ব্যবহার করে একাধিক দেশে ভ্রমণ করেছেন বলে তিনি খোজ খবরের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছেন। তিনি আরো বলেন, প্রশাসন শাহিনের জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট সার্চ করলে বিদেশ ভ্রমণের সত্যতা বেরিয়ে আসবে। মালিক হারুনের বিরুদ্ধে শাহিনের আদালতে দায়ের করা মামলা সম্পর্কে পিবিআই’র (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) বাগেরহাটের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, মামলাটি সম্পর্কে খোজ খবর অর্থাৎ তদন্ত তদারকি করার জন্য গত ৩ ডিসেম্বর মোংলায় গিয়েছিলাম এবং তদন্ত অব্যাহত আছে।