মোংলায় মাকে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে ছেলে

প্রকাশঃ ২০২১-০৪-২৭ - ১৮:১০

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : মোংলায় মাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে পাষন্ড ছেলে। এ ঘটনায় ছেলে ও ছেলে বউকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে পৌর শহরের বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের লাশের ময়না তদন্তের জন্য বিকেলে বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসী জানায়, পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বটতলা এলাকার ক্ষীতিশ চন্দ্র রায়ের বাড়ীতে ক্ষীতিশের স্ত্রী শৈবালীর রায়ের (৬০) সাথে তাদের পুত্র বধু সুচিত্রা বিশ্বাসের (২২) মধ্যে গোবরের তৈরি লাকড়ি (জ্বালানী) নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরের ঝগড়া হয়। এ সময় ছেলে সুব্রত রায় (৪২) এসে মাকে স্ত্রীর সাথে ঝগড়া করতে দেখে ক্ষীপ্ত হয়ে কোদাল দিয়ে মায়ের মাথায় আঘাত করে। প্রথম আঘাতে মা শৈবালী মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আবারো আঘাত করে মাথায়। এরপর বাড়ীর অন্যান্য লোকজন ও প্রতিবেশীরা ছুটে এসে অচেতন অবস্থায় শৈবালীকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে যাওয়ার পথিমধ্যেই তার মৃত্যু হয়। দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে এ ঘটনায় জড়িত নিহত শৈবালীর ছেলে সুব্রত ও ছেলের বউ সুচিত্রাকে আটক করেছে পুলিশ। মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে মাকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলে সুব্রত রায়ের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে এলাকাবাসীরও। সুব্রত পেশায় গ্রাম্য পশু চিকিৎসক ও পিতা ক্ষীতিশ চন্দ্র রায় হোমিও চিকিৎসক। সুব্রত ঘরে এখন যে স্ত্রী রয়েছে এজন তার তৃতীয় স্ত্রী। এই স্ত্রীর সাথে তার মায়ের প্রায়ই বিরোধ লেগেই থাকতো। শ্বাশুড়ী ও বউয়ের এ বিরোধ গড়িয়েছে থানা পুলিশ পর্যন্তও। শেষমেষ মঙ্গলবার দুপুরে শ্বাশুড়ী শৈবালী ও বউ সুচিত্রার মধ্যে বাড়ীতে গোবরের তৈরি লাকড়ি বানানো নিয়ে ঝগড়া হয়। সেই ঝগড়াকে কেন্দ্র করেই বউয়ের পক্ষ নিয়ে আপন ছেলে তার নিজ মাকে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী সুব্রত ও তার স্ত্রী সুচিত্রা দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।