মোংলায় ১২ কেজি হরিণের মাংসসহ আটক ২

প্রকাশঃ ২০২৩-০৩-১৩ - ১৪:৫১

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : মোংলায় হরিণের মাংস কিনতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়লেন দুই ব্যক্তি। এ সময় মাংস ফেলে রেখে পালিয়ে যান দুই পাচারকারী। পরে ঘটনাস্থল থেকে ১২ কেজি হরিণের মাংস জব্দসহ দুই ক্রেতাকে আটক করেছেন পুলিশ। মুলত লোভের বশত মাংস কিনতে গিয়ে ধরা খেলেন রাজমিস্ত্রী ও ভ্যান চালক, এ যেন ‘লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু’। স্থানীররা বলেন, পাচারকারীরা পালিয়ে গেলেন, আর লোভ মাংস কিনতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন নিরীহ দুইজন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার চিলা ইউনিয়নের জয়মনি এলাকার জনৈক হাসান ও চাঁদপাই ইউনিয়নের চাঁদপাই গ্রামের জনৈক কাদের সোমবার সকাল ১০টার দিকে পৌর শহরতলীর নারকেলতলা এলাকায় হরিণের মাংস বিক্রি করতে আসেন। এরপর স্থানীয় বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন (৩২) ও বেল্লাল শরীফ (৩০) ৭শ টাকা দরে দুই কেজি করে মাংস কিনতে গেলে লোকজন দেখে ফেলেন। হরিণের মাংস বিক্রির খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি মেম্বর হারুন মল্লিক ও গ্রামবাসী ছুটে আসলে পাচারকারী হাসান ও কাদের মাংস ফেলে রেখে পালিয়ে যান। রাস্তার উপর মাংস ফেলে যাওয়ার বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১২ কেজি হরিণের মাংস জব্দসহ মাংস ক্রেতা সাদ্দাম ও বেল্লালকে আটক করেন। আটক সাদ্দাম ও বেল্লাল পুলিশের সামনে বলেন, জয়মনির হাসান ও চাঁদপাইর কাদের এ মাংস বিক্রি করতে আসেন। এরপর ৭শ টাকা কেজি দরে ২কেজি করে মাংস কিনতে যান তারা। পরে লোকজন টের পেয়ে তাদেরকে ধরে পুলিশে খবর দেয়। আর লোকজন জড়ো হতেই পাচারকারী ও বিক্রেতা জনৈক হাসান ও কাদের মোটরসাইকেল করে দ্রুত পালিয়ে যান। আটক সাদ্দাম উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নারকেলতলা আবাসনের বাসিন্দা হাবিবুর রহমানের ছেলে। সাদ্দাম পেশা রাজমিস্ত্রী। আর বেল্লাল একই এলাকার সুলতান শরীফের ছেলে। বেল্লায় পেশায় ভ্যান চালক।
মোংলা থানার এসআই মোঃ মিরাজ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ১২ কেজি হরিণের মাংসসহ সাদ্দাম ও বেল্লাল নামের দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর আটককৃতদেরকে জব্দকৃত মাংসসহ বাগেরহাট কোর্টে প্রেরণ করা হবে।