মোংলা বন্দরের শ্রমিক-কর্মচারীদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ

প্রকাশঃ ২০২৩-০২-০৩ - ১৩:২৯

মোংলা প্রতিনিধি : মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পুরাতন স্থায়ী বন্দর এলাকায় বসবাসকারী শ্রমিক-কর্মচারীদের বাসস্থানের জায়গা খালী করে তাদের জায়গা ছেড়ে দেয়ার নোটিশ জারি করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে বন্দরের শ্রমিক-কর্মচারী ও তাদের পরিবার সদস্যরা। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় শ্রমিক-কর্মচারীরা শ্রমিক সংঘ চত্ত্বরে এ কর্মসুচি পালন করে তারা। গত মাসের শেষ সপ্তাহে পৌরসভার ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের নতুন কলোনী, কসাইপাড়া, শেলাইওয়ালা কলোনী সহ বন্দরের জায়গায় ও ভবনে বসবাসরত শ্রমিক-কর্মচারীদের স্থাপনা ছেড়ে জায়গা খালি করার জন্য ঘরে ঘরে নোটিশ টানিয়ে দেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। তারই প্রতিবাদের এ বিক্ষোভ কর্মসুচি।

কর্মসূচি থেকে শ্রমিকরা জানায়, শ্রমিকদের ৫০ বছরের বাসস্থান ছেড়ে দেয়ার জন্য নোটিশ টানিয়ে দেয় বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা। তারই প্রতিবাদের বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও পথসভার কর্মসুচি পালন করেছে বন্দরে কর্মরত শ্রমিক কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় মোংলা বন্দর শ্রমিক সংঘ চত্ত্বরে বিভিন্ন এলাকা থেকে জাহাজের কাজে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারী পরিবারের নারী-পুরুষ ও শিশুরা জমায়েত হয়। এসময় বন্দরের এমন আত্মঘাতি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায় তারা।

প্রধান অতিথি ছিলেন পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আ: রহমান। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো: ইকবাল হোসেন, কাউন্সিলর জি এম আল আমিন, মো: আ: হাকিম, শাকিল সরদার, লিটন হোসেন নিরব সরদার, মো: হারুন, মো: আইয়ুব আলী, বন্দরে আগাত জাহাজের ক্রেন ড্রাইভার সমবায় সমিতির সভাপতি মো: সেলিম চৌধুরীসহ অনেকেই এসময় বক্তব্য রাখেন। শ্রমিক সংঘ মাঠে এ সকল কলোনীতে বসবাসরত শ্রমিক-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের প্রায় শহাস্রাধিক নারী-পুরুষ ও শিশুরা উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন বন্দরের খালাস-বোঝাই কাজে নিয়োজিত শ্রমিক আমরা, তাই ৫০ বছর যাবত প্রায় দুই জাহাজ শ্রমিক, পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছি। বন্দরে আসা দেশ-বিদেশী বানিজ্যিক জাহাজেরর কাজ চলে শ্রমিক দিয়ে, সেই শ্রমিক যদি না থাকে তবে বন্দর চলবে কাদের দিয়ে, কারাইবা জাহাজের খালাস বোঝাই কাজ করবে। এছাড়া তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে “ডক শ্রমিক পরিচালনা বোর্ড” বিলুপ্তি হওয়ায় শ্রমিকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট এ সকল নিয়ে উচ্চ আদালতে মামালাও চলমান রয়েছে। তাই শ্রমিকদের বসবাস যোগ্য বাসস্থানের ব্যাবস্থা না করে বন্দরের এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহবান জানায় শ্রমিক ও কর্মসুচিতে অংশ গ্রহনকারী বক্তারা।