মোংলা বন্দরের সিনিয়র আউটডোর অ্যাসিস্টেন্টের নিয়োগ নিয়ে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ

প্রকাশঃ ২০১৭-১০-২৫ - ২২:২৮

আবু হোসাইন সমুন, মোংলা : মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ২৫ জন সিনিয়র আউটডোর অ্যাসিস্টেন্ট পদে নিয়োগ নিয়ে শংঙ্কায় আছেন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণকারী প্রার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা। নিয়োগ প্রক্রিয়া চুড়ান্ত করণে মোটা অংকের অর্থ বাণিজ্যের কারণে মেধা তালিকায় শীর্ষে/প্রথমদিকে থাকা প্রার্থীরা স্থান না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগ কমিটির একাধিক সদস্য তাদের মনোনীত লোকের মাধ্যমে এসব অবৈধ অর্থের লেনদেন করেছেন। তবে অভিযোগের সত্যতা নিখুঁত ভাবে যাচাই বাছাই করে নিয়োগ প্রক্রিয়া চুড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর একেএম ফারুক হাসান।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং পত্রিকার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গেছে, বন্দরের ২৫ জন সিনিয়র আউটডোর অ্যাসিস্টেন্ট নিয়োগের জন্য গত ০৩ এপ্রিল বিভিন্ন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। ওই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার প্রার্থী চাকরির জন্য আবেদন করেন। তা থেকে ১ হাজার ৮শ ৫৫ জন লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরবর্তীতে লিখিত পরীক্ষা শেষে প্রথম দফায় ১শ ৩৪ জনকে ডাকা হয় মৌখিক পরীক্ষার জন্য। এরপর ওই ১শ ৩৪ জনের মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ কমিটির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠতে থাকে। পরবর্তীতে ওই ১ শ ৩৪ জনসহ মোট ৮ শ ৬৩ জনকে পুনরায় মৌখিক পরীক্ষায় ডাকা হয়। এমনি করে এ নিয়োগের জন্য দেড় বছর সময় পেরিয়ে গেছে। কিন্ত বহুবিধ সমস্যার কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। এ নিয়োগে ২৫ জন প্রার্থীর জন্য মন্ত্রী, এমপি ও উচ্চপদস্থ আমলাদেও সুপারিশ রয়েছে শতাধিকের উপরে। এরপরেও আছে স্থানীয় সিবিএ নেতা ও বন্দরের কর্মরতদের উত্তারাধিকারের (পোষ্যদের) কোঠার আবদার। এ কারণে বন্দরের ব্যবস্থাপনা পর্ষদ নিয়োগ চুড়ান্ত করতে গিয়ে চরম বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে। এত বাধা বিঘœ পেরিয়ে অতি সম্প্রতি নিয়োগ প্রক্রিয়া চুড়ান্ত হওয়ার শেষ পর্যায় থাকলেও এ নিয়োগ নিয়ে কমিটির একাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে কোটি টাকা অর্থ বাণিজ্যেও অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপাওে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর একেএম ফারুক হাসান বলেন, তিনি অভিযোগের সত্যতা যথাযথ ভাবে যাচাই বাছাই করে মেধা তালিকা অগ্রাধিকার দিয়ে কোঠা অনুসারে নিয়োগ প্রক্রিয়া চুড়ান্ত করা হবে।