মোংলা বন্দরে ভেঙ্গে দেয়া ১৫২টি প্লট বুঝে পেতে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা

প্রকাশঃ ২০১৭-১০-২১ - ২১:৫৩

আবু হোসাইন সুমন, মোংলা: মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের বরাদ্দকৃত ১শ ৫২টি প্লট বিগত ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ভেঙ্গে দেয়ার দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর পর ওই প্লটগুলো স্ব-স্ব মালিকদের বুঝিয়ে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ তালুকদার আব্দুল খালেক ও বন্দর কর্র্র্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর একেএম ফারুক হাসান। রবিবার সকাল ১০টায় মামার ঘাট, সিঙ্গাপুর ঘাটসহ রিভার সাইডের এই প্লট মালিকদের বৈধ কাগজপত্র নিয়ে স্ব-স্ব প্লটের সামনে উপস্থিত থাকার জন্য পৌরসভার প্রচারণা মাইকিংয়ে ঘোষণা দেয়া হচ্ছে গত কয়েকদিন ধরে। স্থানীয় সংসদ সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেকে প্রচেষ্টায় দীর্ঘদিন পর ব্যবসায়ীরা তাদের প্লট বুঝে পেতে যাচ্ছেন এ নিয়ে বন্দর শহরের ব্যবসায়ীদের মধ্যে কিছুটা হলেও নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে।

ব্যবসায়ীদের সূত্র জানায়, মোংলা বন্দর প্রতিষ্ঠার পর থেকে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্লট বরাদ্দ নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করে আসছিলেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বন্দর কর্তৃপক্ষের বরাদ্দকৃত প্লট ১শ ৫২টি প্লট অবৈধ বলে ভেঙ্গে দেয়া হয়। বন্দর কর্তৃপক্ষের দেয়া বরাদ্দ অবৈধ এবং জায়গার মুল মালিক মোংলা উপজেলা ভূমি অফিস ও বাগেরহাট জেলা প্রশাসক বলে তৎকালীন সময়ে দাবী করা হয়। একই জায়গা দুই প্রতিষ্ঠানের দাবীর প্রেক্ষিতে সৃষ্ট জটিলতার কারণেই ওই সময় মুলত প্লটগুলো ভেঙ্গে দেয়া হয়। এরপর ব্যবসায়ীরা এ নিয়ে উচ্চ আদালতে পৃথকভাবে একাধিক মামলা দায়ের করেন। এতে মামলায় জড়িয়ে পড়েন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ (নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়) ও ভূমি মন্ত্রনালয়। মামলা চলাকালীন ব্যবসায়ীদের দাবীর প্রেক্ষিতে বিষয়টি সুরহার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেক উদ্যোগী হন। এতে উভয় মন্ত্রনালয় বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ তালুকদার আব্দুল খালেককে দায়িত্ব দেন। তালুকদার আব্দুল খালেকের প্রচেষ্টার কারণের দীর্ঘ ১০ বছর পর ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা তাদের প্লট বুঝে পেতে যাচ্ছেন। রবিবার সংসদ সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেক, বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর ফারুক হাসান, পরিচালক (প্রশাসন) লে: কমান্ডার আনোয়ার হোসেন ও সম্পত্তি শাখার কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে বৈধ কাগজপত্র দেখে প্রকৃত মালিকদের তাদের জায়গা বুঝিয়ে দিবেন।

বন্দরের ব্যবসায়ী ও প্লট মালিকেরা বলেন, আমাদের সংসদ সদস্যের আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণেই দীর্ঘদিন পর আমরা প্লট বুঝে পেতে যাচ্ছি।

এ বিষয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর একেএম ফারুক হাসান বলেন, নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয় ও ভূমি মন্ত্রনালয় রেজুলেশনের মাধ্যমে এ সমস্যা নিরসনে স্থানীয় সংসদ সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেকের উপর দায়িত্ব দিয়েছেন। তার উপস্থিতিতেই আমরা বৈধ চুক্তিনামা ও কাগজপত্র দেখে পর্যায়ক্রমে প্লটগুলো স্ব-স্ব মালিকদের বুঝিয়ে দিবো।