মোল্লাহাটে যুবতীকে ধরে নিয়ে রাতভর অত্যাচার

প্রকাশঃ ২০২০-০৭-১৮ - ১৯:০৪

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোল্লাহাটে ফিসির বাড়ি (ফুফু বাড়ি) যাওয়ার পথে এক হিন্দু যুবতীকে আটকিয়ে নির্জন এলাকায় ঘেরের ঘরে নিয়ে রাতভর অত্যাচার অতঃপর কানের ও নাকের গহণা রেখে ভোরবেলায় মুক্ত/ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে কয়েক যুবকের বিরুদ্ধে। ন্যাক্কার জনক ওই ঘটনা ঘটে উপজেলার মোল্লারকুল মধ্যপাড়া নির্জন/ফাকা এলাকার জনৈক জিহাদ কাজীর ঘেরের ঘরে। ওই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকার চৌকিদার মোঃ নুরুল ইসলামের মাধ্যমে থানায় যান এবং যুবকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ভিকটিম। ভিকটিম (১৮) উপজেলার চাউলটুরী এলাকার অত্যন্ত অসহায় এক হিন্দু পরিবারের মেয়ে। চৌকিদার মোঃ নুরুল ইসলাম জানান-বৃহস্পতিবার সকালে পার্শ্ববর্তী আটজুড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান আওয়ামীলীগের সভাপতি কাহালপুর গ্রামের আবুল বাশার মোল্লা ওই ভিকটিমকে তার মাধ্যমে থানায় পাঠান। তিনি থানায় নিয়ে যান এবং ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে একজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো তিন যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তিনি আরো জানান-পরবর্তীতে খোজ-খবর নিয়ে অপর তিন যুবকের পরিচয় পেয়েছেন / নিশ্চিত হয়েছেন। ওই যুবকরা মাদক সংশ্লিষ্ট অপরাধসহ চুরি-ছিনতাই ও অসামাজিক কার্যকলাপ করে এলাকার পরিবেশ নষ্ট করছে। একই কথা বলেন-স্থানীয় আনিস খাকীসহ অনেকে। ভিকটিম বলেন-তিনি বুধবার বিকেলে তার ফিসি বাড়ির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন, পথিমধ্যে একটি মটরসাইকেলে তাকে জোর করে তোলে দুই যুবক। তারা আমাকে ফিসির বাড়ি পৌছে দেয়ার কথা বলে ইচ্ছার বিরুদ্ধে অনেকরাত পর্যন্ত ঘুরাতে থাকে। একপর্যায়ে গভীররাতে একটি ঘেরের ঘরে নিয়ে ভোর পর্যন্ত অত্যাচার করে এবং কানের ও নাকের সোনার গহণা কেড়ে নিয়ে ছেড়ে দেয়। চাউলটুরী এলাকার মাতবর কালু সাংবাদিকদের বলেন-এসব বাদ দিতে হবে, আমি থানায় ফোন করে বলছি, তাই ওরে (ভিকটিম) বাড়ি দিয়ে গেছে পুলিশ। আসলে মেয়ে খারাপ, এ্যা নিয়ে (ভিকটিম) কিছু করা যাবে না। আমার বাড়ির কাছে-আমি এ্যাগে ভালো করে চিনি, প্রত্যেকদিন বাড়িরতে বের হয়ে যায়। ওর সোনা/গহণা উদ্ধারের জন্য কয়েক জনরে আমি দায়িত্ব দিছি। সোনা উদদ্ধার হবে।সাবেক চেয়ারম্যান ও আটজুড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার মোল্লা জানান-ওই মেয়েটাকে একটি কালভার্টের উপর কাদতে দেখে জনৈক বুনে খা তাকে নিয়ে আমার কাছে আসে। তাদের পিছনে নুরু চৌকিদার আসে এবং ঘটনা সম্পর্কে বলে। তখন মেয়েটার কাছে বিষয়টি জেনে ওই চৌকিদারের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক থানায় পাঠান তিনি। এরপর ওই দিন বিকালে থানা থেকে আয়ূব নামে এক দারোগা আসেন এবং নুরু চৌকিদারকে নিয়ে এলাকায় খোজ-খবর নেন। ওই দারোগা কানের একটি গহনা উদ্ধার করেছেন বলেও তিনি জানান। থানা অফিসার ইনচার্জ কাজী গোলাম কবীর বলেন-তিনি মাত্র শুনলেন এবং খোজ-খবর নিয়ে দেখবেন।