মোল্লাহাটে সংঘর্ষে হতা-হতের ঘটনায় পুরুষশুণ্য পরিবারে ক্ষয়-ক্ষতির অভিযোগ

প্রকাশঃ ২০২০-০৬-২৫ - ২২:৩২

মোল্লাহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ মোল্লাহাটে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত ও ২০ জন আহতের ঘটনায় উভয় পক্ষের মামলা হলেও এক পক্ষের পুরুষ শুন্য পরিবার গুলোর দিন কাটছে আতঙ্কে। এছাড়া বেশ কিছু পরিবারের গরু ও ঘেরের মাছ লুট এবং চুরিসহ ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি করা হয়েছে পানবরজ ও বিভিন্ন ফসলের। হত্যা মালার আসামীরা পালাতক এবং হত্যাচেষ্টা/আহত মামলার আসমীরা জামিনে এলাকায় থাকায় ওই ঘটনা ঘটছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। অবশ্য পুলিশী নজরদারীতে তুলনামূলক কম ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান অনেকে।
ওই গ্রামের মুত গাউছ শেখের স্ত্রী হোসনেয়ারা (৭৫) অভিযোগ করেন, গত ২৭ মে বিকালে গাংনী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ শহিদুল ইসলাম সাহিদ এর গ্রুপ ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষে জাকির গ্রুপের বাদশা নামে একজন নিহত ও উভয়পক্ষের অন্তত ২০জন আহত হয়। হতা-হতের ওই ঘটনায় উভয়পক্ষের মামলা হয়। ওই মামলায় সহিদ গ্রুপের লোকজন পালাতক থাকায় পুরুষশুণ্য হয়ে পড়ে প্রায় অর্ধশত পরিবার। অপরদিকে জাকির গ্রুপের লোকজন জামিনে এলাকায় এসে পুরুষশুণ্য প্রতিপক্ষের গরু ও মাছের ঘের লুট ও চুরি করছে। হোসনেয়ারা আরও জানান, তার তিন ছেলে নজরুল ইসলাম শেখ, ইব্রাহিম শেখ ও সাবু শেখ’কে উদ্দেশ্যমূলক হত্যা মামলার আসামী করা হযেছে। ওই মামলায় তার ছেলেরাসহ পক্ষের সকল পুরুষ পালাতক। এ সুযোগে প্রতিপক্ষের লোকেরা তার ছেলে নজরুলের ১০ বিঘার একটি ৬বিঘার একটি ও ৫বিঘার ২টিসহ ইব্রাহিম ও সাবু’র আরও কয়েকটি ঘেরের মাছ ও স্যালো মেশিন লুট ও চুরি করে। এভাবে তাদের পক্ষের অনেকের গরু ও ঘের লুট/চুরি করছে জাকির চেয়ারম্যানের লোকেরা। এছাড়া রাতে বাড়িতে এসে মহিলাদের ডাকা-ডাকি করায় তারা আছে আতঙ্কে। গত ১৮ তারিখ রাতের যে কোন সময় তার ছেলের দেড় বিঘার পান বরজের গুনা তার কেটে বরজ বেঙ্গে ফেলে প্রতিপক্ষ। সব মিলে তার ছেলেদের প্রায় কোটি টাকার ক্ষাত করেছে। এ উদ্ভুদ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কঠোর হস্থক্ষেপ কামনা ও বিচার দাবী করেন হোসনেয়ারা।
শেখ শহিদুল ইসলাম সাহিদের পক্ষের লোকজন আহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক আবু হাসান জানান, এলাকার পরিস্থিতি ঠিক/স্বাভাবিক রাখতে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের আদেশে গত সোমবার দিনগত রাতে আসামীদের মাঝে ছয় জনকে আটক করে মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হয়। আটককৃতরা হলেন, গাংনী মাতারচর এলাকার সফিউল্লাহ (৩২), ফরহাদ ফকির (২৬), মিটু ফকির (৪৫), উথান ফকির (৪০), রানা কাজি (১৮) ও আলম শেখ (৪৫।