যশোর অফিস : বুধবার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় সমাবর্তন। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যশোরে আসছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে চ্যান্সেলর ও রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। সমাবর্তনে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে যোগ দিবেন রসায়ন শাস্ত্রে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. রবার্ট হিউবার।
সমাবর্তনের প্রস্তুতিসহ যাবতীয় বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর আনোয়ার হোসেন জানান, ‘যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘৩য় সমাবর্তন ২০১৮’-এ ৫৭০ জন গ্রাজুয়েট রেজিস্ট্রেশন করেছেন এবং ৪৬৬ জন অভিভাবক গ্রাজুয়েটদের সঙ্গে আসবেন। এ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষক, কর্মকর্তাসহ ৪৮৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ‘৩য় সমাবর্তন-২০১৮’ সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ১৯টি কমিটি ও উপ-কমিটি তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব অত্যন্ত সূচারুভাবে পালন করছে। পরীক্ষায় অসাধারণ কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখার জন্য এবারের সমাবর্তনে আটজন গ্রাজুয়েটকে চ্যান্সেলর স্বর্ণ পদক, পাঁচজন শিক্ষার্থীকে ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড এবং ৫৬ জন শিক্ষার্থীকে ডিন্স অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের জন্য মেড্্ল, ক্রেস্ট এবং অন্যান্য উপহার সামগ্রী তৈরির কাজও সুসম্পন্ন হয়েছে।’ তিনি বলেন, ১১ বছর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কোনো উল্লেখযোগ্য সময়ই নয় উল্লেখ করে উপাচার্য ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এ স্বল্প সময়ের পথ পরিক্রমায় তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারাটা যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি বড় অর্জন।
উপাচার্য ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘৩য় সমাবর্তন-২০১৮’ বুধবার বেলা আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় চ্যান্সেলর মোঃ আবদুল হামিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান।
এবারের সমাবর্তনের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হচ্ছে এই প্রথম এশিয়া মহাদেশের বাইরের কোনো নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছেন। তিনি হলেন, জার্মান নাগরিক, ১৯৮৮ সালে রসায়ন শাস্ত্রে নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. রবার্ট হিউবার। তিনি ম্যাক্স প্লাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর বায়োকেমিস্ট্রি’র ইমেরিটাস ডাইরেক্টর।
সমাবর্তনের প্রস্তুতির বিষয়ে উল্লেখ করে ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, বিভিন্ন প্রকারের দেশি-বিদেশি ফুলে পুরো ক্যাম্পাস সাজানো হয়েছে।