যশোরের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সনু চৌধুরীর দাফন সম্পন্ন

প্রকাশঃ ২০১৮-০১-২৬ - ১৩:৪৬

যশোর অফিস: সামাজিক, সাংষ্কৃতিক ও রাজনৈতিক এবং সহকর্মীরা শ্রদ্ধা আর ভালবাসায় চির বিদায় জানালেন  যশোরের সাংষ্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও উদীচী যশোরের সহ-সভাপতি হায়দার আলী চৌধুরী সনুকে।  বৃহস্পতিবার বাদ জোহর নলডাঙ্গা সরকারি ইসলামী প্রাথীমক বিদ্যালয়ে প্রাঙ্গনে জানাজা শেষে কারবালা কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।

এদিকে সনু চৌধুরীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উদীচী প্রাঙ্গণে সকাল ১০টায় মরদেহ আনা হলে সেখানে সহশিল্পী আর সহকর্মীরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এ সময় শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

উদীচী প্রাঙ্গণে সংগঠনের পতাকায় অচ্ছাদিত করে সনু চৌধুরীকে সম্মান জানানো হয়। ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃদিক জোট, উদীচী যশোর, মুনশী রইচউদ্দীন সংগীত একাডেমি, অক্ষর শিশু শিক্ষালয়, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন, জেলা মহিলা পরিষদ, জেলা জাসদ, শ্রুতি যশোর, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি, জেলা সিপিবি, জেলা জাগপা, জেলা টিইউসি, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ, সেমিনার পরিষদ, নৃত্যবিতান, জেলা আইডি, উদীচী এমএম কলেজ শাখা, উদীচী গদখালী শাখা, ফ্লিম সোসাইটি, চাঁদের হাট, শেকড়, বিবর্তন, বিদ্রোহী সাহিত্য পরিষদ, স্বগতকণ্ঠ, তির্যক, সপ্তসুর, আশাবরী, কিংশুক, সুরধুনী, স্পন্দন, অগ্নিবীণা কেন্দ্রীয় সংসদ, বাউলিয়া সংঘ, দত্তবাড়ী, জেলা রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ, মাইকেল সংগীত একাডেমি, স্বরলিপি সংগীত একাডেমি, যুগান্তর স্বজন সমাবেশ, বাংলাদেশ ভারত মৈত্রী সমিতি যশোর জেলা শাখা, মুড়লী সূর্য সংঘ ক্লাব, ডায়মন্ড ক্লাব, কেশবপুর উদীচী, এপেক্স বিল্ডার্স লিমিটেডসহ বিভিন্ন সাংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

প্রসঙ্গত. বুধবার বিকেল তিনটের দিকে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে খুলনা ফর্টিস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি বৃদ্ধা মা, স্ত্রী ও এক ভাইসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। সনু চৌধুরী যশোর বেজপাড়া নলডাঙ্গা রোডের মৃত কাশেম আলী চৌধুরী ও জয়নাব বেগমের ছোট ছেলে ছেলে। তিনি ১৯৬৬ সালের ২ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। সোমবার বুকে ব্যাথা নিয়ে তিনি যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। বুধবার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে হাসপাতালের চিকিৎসকরা খুলনার ফর্টিস হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানেই দুপুরের দিকে তার অবস্থা আরো খারাপ হয় এবং বেলা তিনটার দিকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

উদীচী প্রাঙ্গণে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান ও শোক বইতে স্বাক্ষর করেন জেলার রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের নেতৃবৃন্দ।