যশোরে দুর্বৃত্তদের ধারাল অস্ত্রের কোপে দুইজন গুরুতর আহত

প্রকাশঃ ২০১৮-০১-১৫ - ১৫:০০

রবিউল ইসলাম মিটু,যশোর : যশোরের পৃথক ঘটনায় দূর্বৃত্তদের ধারাল অস্ত্রের আঘাতে দুইজন গুরুতর আহত অবস্হায় রোববার রাতে যশোর ২৫০শয্যা জেনারেল হাসতালে ভর্তি হয়েছে। আহতরা হলেন চৌগাছা উপজেলার  চারাবাড়ি গ্রামের ইব্রাহিম বকসের  ছেলে কৃষক নান্নু বকস(৪০)।এবং মনিরামপুর উপজেলার চালুহাটি গ্রামের দফাদার পাড়ার আব্দুল মজিদের ছেলে মোস্তফা (২৮)

হাসপাতালে আহত নান্নুর ভাইপো শিমুল জানান, কৃষক নান্নুর ভিটা-বাড়ির ৫/৬কাঠা জমি নিয়ে একই এলাকার আব্দুল আজিজের সাথে দির্ঘদিন গলোযোগ হয়ে আসছিল। তারই জের ধরে রোববার সন্ধার দিকে এলাকার মাঠপাড়ায়, আজিজ তার ছেলে বারিক, বাসার ও আলি মিলে ধারাল কুড়াল দিয়ে নান্নুকে উপর্যুপরি কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। এতে তার শরিরের বিভিন্নস্হান সহ মাথায় গুরুতর আহত হয়। স্হানিয়রা আহতকে উদ্ধার করে প্রথমে চৌগাছা হাসপাতালে ওপরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। হাসপাতালে সার্জারী বিভাগে সিনিয়র স্টাফ নার্স রহিমা খাতুন ডাক্তার প্রথিক বিশ্বাসের উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, আহতর মাথায় আঘাত সহ শরিরের বিভিন্ন জায়গায় ধারাল অস্ত্রের আঘাতে ঘুরুতর জখম হয়েছে। এক্সরে সহ বিভিন্ন পরিক্ষা করা হয়, সে আশংকাজনক তাকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার করা হয়েছে ।

অন্যদিকে হাসপাতালে আহত মস্তফার বোন শুকজান বিবিও প্রত্যক্ষদর্শি উপজেলার সৌনিকলীগের সাধারন সম্পাদক মৃত আবুল হোসেনের ছেলে লতিব হোসেন জানান, মস্তফা পেশায় একজন ভাড়ায় মটরসাইকেল চালক। রোববার সন্ধার দিকে এলাকার নেঙ্গুড়ার বাজার থেকে লতিব মস্তফার ভাড়া মটরসাইকেলে চেপে মনিরামপুর রওনা হয়। পথিমধ্যে লক্ষনপুর মনির দোনের সামনে তারা পৌছায়। এসময় লতিবের সাথে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পূর্বে থেকে ওৎপেতে থাকা ওই এলাকার রহিমা খাতুনের নেতৃত্বে, তার আত্বীয় সাত্তার, বাহার, ইসরাফিল ওতাজউদ্দীন মিলে গাছিদা দিয়ে লতিবকে কোপাতে যায়।লতিব দৌড়দিলে চালক মোস্তফাকে উপর্যুপরি কুপিয়ে আহত করে, দূর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।   পরে স্হানিয়রা আহতকে উদ্ধার করে রাত ১০টার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। হাসপাতালে সার্জারী বিভাগে সিনিয়র স্টাফ নার্স রহিমা খাতুন ডাক্তার জাহিদ এর উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, আহতর দু’’হাত সহ শরিরের বিভিন্ন জায়গায় ধারাল অস্ত্রের আঘাতে ঘুরুতর জখম হয়েছে। এক্সরে সহ বিভিন্ন পরিক্ষা দিয়েছি ২৪ঘন্টা পারনা হলে কিছুই বলা সম্ভব না। তবে সে এখন আশংকামুক্ত।