যশোরে বেপরোয়া ট্রাক চোর ও বিকিকিনি সিন্ডিকেট

প্রকাশঃ ২০১৮-০২-০৬ - ১৮:৫৯

যশোর অফিস : যশোর শহরের বকচর এলাকার দুটি গ্যারেজে গোপনে চোরাই গাড়ি মেরামত ও যন্ত্রাংশ খুলে অথবা কেটে বিক্রিতে সহায়তার অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। পুলিশের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা এই দুই গ্যারেজ মালিক এবং চোরাই গাড়ি বিকিকিনির সাথে জড়িতদের কাছ থেকে মাসোহারা পেয়ে থাকেন এমন অভিযোগও রয়েছে। ফলে বকচরের এ দুটি গ্যারেজগুলোতে চোরাই গাড়ি কেটে ফেলা অথবা মেরামত করা হলেও কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়না। এসব কারনে চোরাই গাড়ি কারবারীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাদের কারনে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন গাড়ির ব্যবসার সাথে জড়িত অসংখ্য মানুষ।
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, যশোরে আবারও মাথা চাড়া দিয়েছে সংঘবদ্ধ ট্রাক চোর হুশতলা এলাকার আব্দুর হামিদের ছেলে মিন্টু গাজী ও লাল্টু গাজী সিন্ডিকেট । ভাড়া করা চোর দিয়ে এক জেলা থেকে ট্রাক চুরি করে অন্য জেলায় ডেরায় পাঠাচ্ছে এ সিন্ডিকেট। গাজী আয়রণ স্টোর ও গাজী মরটস্সে দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে চোরাই গাড়ি বিকিকিনি হচ্ছে বলে জোরদাবি বকচর হুশতলা এলাকার সাধারণ ব্যবসায়ীদের। এ দুটি গ্যারেজে কম টাকায় চোরাই মাল বিকিকিনি হয়ায় একদিকে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এই এলাকার সাধারণ ব্যবসায়ীরা অন্যদিকে ব্যাপক রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। বকচর হুশতলা এলাকাতে মূলত ট্রাক চোর সিন্ডিকেটের গোড়াপত্তন মিন্টু গাজীর হাত ধরে। এ সিন্ডিকেটের হয়ে সারাদেশে শাতাধিক চোর কাজ করছে। সম্প্রতি মিন্টু ও লাল্টু গাজী সিন্ডিকেটের আন্তজেলা চার ট্রাক চোরকে আটক করে পুলিশ। তারা হলেন, শেরপুরের নকশা জলকি গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে মনির হোসেন, মাহমুদপুরের গোলাম মোস্তফার ছেলে মফিজুর রহমান, শ্রীরামপুরের আব্দুল মাজেদের ছেলে মফিজুল ইসলাম, ঢাকা শেরে বাংলা এলাকার মৃত মোস্তাক হোসেনের ছেলে আমিন রাব্বি। ২০১৫ সালে চোরাই গাড়ির যন্ত্রাংশ সহ আটক হয় মিন্টু গাজী। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আবারও শুরু করে চোরাই গাড়ি বিকিকিনি।
অপর একটি সূত্র জানায়, শহরের গাজী আয়রণ স্টোর ও গাজী মরটস্সে চোরাই গাড়ির রঙ ও যন্ত্রাংশ পরিবর্তন করে দেয়া হয় গোপনে। চিহ্নিত এ দুটি প্রতিষ্ঠানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী সোর্স কাজে লাগিয়ে অভিযান চালালে চোরাই গাড়ি সংক্রান্ত বহু অপরাধ ধরা পড়তে পারে। অনেক রাঘব বোয়ালের নামও বেরিয়ে আসতে পারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর অভিযানে।