যেখানে জামায়াত শিবির রাজাকার মৌলবাদি সেখানেই প্রতিরোধ: বুদ্বিজীবী দিবসে খুলনা সিটি মেয়র

প্রকাশঃ ২০২০-১২-১৪ - ২১:২৮

বিজ্ঞপ্তি: খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, পাক হানাদার বাহিনী বাংলাদেশ তাদের তাবেদারী রাষ্ট্র বানিয়ে রাখতে বাংলার সকল মেধাবী বুদ্ধিজীবীদের বেছে বেছে হত্যা করেছে। তারা অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ভাবে এ হত্যাকাণ্ড পরিচালনা করে। তিনি বলেন, পাকিস্তানের সেনা কর্মকর্তা রাও ফরমান আলীর মূল পরিকল্পনায় সেদিন বিশ হাজার বুদ্ধিজীবীকে হত্যা তালিকা করা হয়েছিলো। কিন্তু বাংলার দামাল ছেলেদের বিচক্ষণ সাহসিকতার কারনে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে তারা সে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। তার পরেও তার প্রায় সাড়ে ১২ হাজার বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করেছিলো। তিনি বলেন, আমাদের শহীদদের রক্ত আর মাবোনের ইজ্জত আমাদের সাহসিকতাকে জীবন বাজি রাখতে আরো উজ্জীবিত করেছে। সেদিন প্রতিশোধের নেশায় বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে রাজাকার আলবদর আলশামস সহ পাকবাহিনীকে বাংলা থেকে তাড়াতে সমর্থ হয়েছিলো। তিনি আরো বলেন, আজও তারা ঘাপটি মেরে থেকে বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে নানামূখী ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা প্রতি মূহুর্তে নতুন নতুন পরিকল্পনা করে এদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে বাধা গ্রস্ত করতে চায়। তাদের ব্যাপারে সকলকে সর্তক দৃষ্টি রাখতে হবে। যেখানে জামায়াত শিবির রাজাকার মৌলবাদিদের পাওয়া যাবে সেখানেই তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় বক্তব্য রাখেন, জাতীয় কমিটির সাবেক সদস্য এ্যাড. চিশতি সোহরাব হোসেন শিকদার, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, বীরমুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, বীরমুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, বীরমুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, তসলিম আহমেদ আশা, এ্যাড. সরদার আনিসুর রহমান পপলু, এ্যাড. সুলতানা রহমান শিল্পী, রনজিত কুমার ঘোষ, মো. সফিকুর রহমান পলাশ, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল। সভা পরিচালনা করেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মো. ফারুক আহমেদ, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, জোবায়ের আহমেদ খান জবা, ফেরদৌস আলম চাঁন ফারাজী, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, হাফেজ মো. শামীম, শেখ নুর মোহাম্মদ, কাউন্সিলর শামছুজ্জামান মিয়া স্বপন, মো. মোতালেব মিয়া, এস এম আকিল উদ্দিন, মীর বরকত আলী, মো. মোতালেব হোসেন, শেখ শাজালাল হোসেন সুজন, মাহাবুবুল আলম বাবলু, মঈনুল ইসলাম নাসির, মুন্সি আইয়ুব আলী, চ. ম. মুজিবর রহমান, শেখ জাহিদ হোসেন, এমরানুল হক বাবু, ফয়েজুল ইসলাম টিটো, আতাউর রহমান শিকদার রাজু, মো. জাকির হোসেন, এ্যাড. শামীম মোশাররফ, মীর মো. লিটন, আজম খান, অহিদুল ইসলাম পলাশ, এস এম হাফিজুর রহমান হাফিজ, মো. আমির হোসেন, রফিকুল ইসলাম পিটু, মুন্সি নাহিদুজ্জামান, মো. কামরুল ইসলাম, রোজি ইসলাম নদী, অভিজিৎ চক্রবর্তী দেবু, কাজী ইব্রাহিম মার্শাল, মো. সাকিল হোসেন, সহিদুল হাসান, আঞ্জুমানোয়ারা বেগম, জেসমিন সুলতানা, নুরীনা রহমান বিউটি, নুরজাহান রুমি, তাসলিমা বেগম, সাবিহা ইসলাম আঙ্গুর, কাউন্সিলর কনিকা সাহা, আইরিন চৌধুরী, নাসরিন সুলতানা, ইখতিয়ার উদ্দিন মোল্লা, জব্বার আলী হীরা, জহির আব্বাস, সোহান হাসান শাওন, মাহমুদুর রহমান রাজেশ, মো. শাহীন আলম, শাহরিয়ার ইসলাম রাহুল, ওমর কামাল, এস এম সবুজ, নিশাত ফেরদৌস অনি প্রমুখ।
এর আগে সকাল ৭টায় গল্লামারী স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করণ, কালো পতাকা উত্তোলন এবং কালো ব্যাজ ধারণ করা হয়।